শিরোনাম
নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে দায়িত্বশীল সাংবাদিকতার ডাক, চট্টগ্রামে সবুজ বাংলার তৃতীয় বর্ষ উদযাপন নগরফুল হলিডে স্কুল পটিয়া শাখায় ১১তম মৌসুমের তৃতীয় ধাপে শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত রাজশাহীর তানোরে গভীর নলকূপের পরিত্যক্ত গর্তে আটকে থাকা শিশু সাজিদকে উদ্ধারের  কাজ এখনো চলছে। পাটগ্রামে রাস্তার মাঝে গাছ রেখেই  পিচ ঢালাই ও কার্পেটিং , দুর্ঘটনার আশঙ্কা । সেচ্ছাসেবীদের নিয়ে মোস্তফা হাকিম ব্লাড ব্যাংকের হেল্থ চেক-আপ ট্রেনিং ২০২৫ অনুষ্ঠিত। থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার সীমান্তে উত্তেজনা আবারও চরমে উঠেছে। আগামীকাল বেগম খালেদা জিয়াকে নিতে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স আসবে। প্রেসিডেন্ট অ্যাওয়ার্ডে উজ্জ্বল ছাতকের কন্যা উম্মে ফাতেমা স্পিহা-জাতীয় মঞ্চে ছনখাইড় কন্যার অনন্য সাফল্য কওমী মাদ্রাসার স্বীকৃত ডিগ্রিধারীরা নিকাহ রেজিস্ট্রার (কাজী) হতে পারবেন কালিহাতীতে শিয়ালের আকস্মিক হামলায় বৃদ্ধা গুরুতর আহত, আতঙ্কে এলাকাবাসী
শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৭:০৮ পূর্বাহ্ন

বিশ্বজুড়ে সাইবার কেলেঙ্কারির আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞেরা।

রিপোটারের নাম / ২৮৬ বার পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল, ২০২৫

 

এইচটি বাংলা ডেস্ক : বিশ্বজুড়ে সাইবার স্ক্যাম বা কেলেঙ্কারির আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞেরা। এই স্ক্যাম ছড়াতে পারে আফ্রিকা এবং ইউরোপে।

 

সোমবার জাতিসংঘ একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। তাতে বলা হয়েছে, এশিয়ায় একটি কয়েক বিলিয়ন ডলারের স্ক্যাম সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে। রীতিমতো পরিকল্পনা করে তারা সাইবার অপরাধ সংগঠিত করছে। গোটা এশিয়াজুড়ে এই চক্র সক্রিয়। এবার তারা আফ্রিকা, ইউরোপ এবং অ্যামেরিকাতেও জাল বিস্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে।

 

রিপোর্টে বলা হয়েছে, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াতে এই চক্র এখন সবচেয়ে বেশি সক্রিয়। রিপোর্ট বলছে, চীন এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একাধিকগ্যাং এই অপরাধ সংগঠিত করছে। তারা ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে এই অপরাধের জাল ছড়াচ্ছে। অনেক সময় তারা ভালোবাসার জাল ছড়াচ্ছে। ব্যবহার করা হচ্ছে নারীদের। তাদের মাধ্যমে সর্বস্বান্ত করা হচ্ছে বহু মানুষকে।

 

জাতিসংঘের রিপোর্টে বলা হচ্ছে, এই অপরাধচক্রে জোড়া হচ্ছে বিপুল পরিমাণ পাচার হওয়া ব্যক্তিদের। যাদের বাধ্য করা হচ্ছে সাইবার অপরাধের সঙ্গে যুক্ত হতে।

 

প্যাসিফিক আইল্যান্ডের পরিস্থিতি

 

জাতিসংঘের ড্রাগ এবং ক্রাইম সংস্থা ইউএনওডিসি’র দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কার্যকরী প্রতিনিধি বেনেডিক্ট হফম্যান জানিয়েছেন, প্যাসিফিক আইল্যান্ড বা প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জে ক্যানসারের মতো ছড়িয়ে পড়েছে এই ধরনের অপরাধ। প্রশাসন বিভিন্ন সময় রেড করে। অনেকে ধরা পড়ে। কিন্তু আবার অন্যত্র নতুন গ্যাং গজিয়ে ওঠে।

 

 

 

রিপোর্টে বলা হয়েছে, এই অপরাধ এই মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি দানা বেঁধেছে মিয়ানমারের সীমান্ত অঞ্চলগুলোতে। সেখানে গৃহযুদ্ধ চলায় প্রশাসনের পক্ষেও বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। সেই সুযোগ নিচ্ছে অপরাধী গ্যাং-গুলো। অন্যদিকে লাতিন আমেরিকা, আফ্রিকা, ইউরোপ এবং মধ্যপ্রাচ্যেও ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ছে এই ধরনের অপরাধমূলক কার্যকলাপ।

 

হফম্যানের বক্তব্য, শুধমাত্র ২০২৩ সালে সাইবার অপরাধে মানুষ তিন হবাজার ৭০০ কোটি ডলার খুইয়েছে। শুধুমাত্র আমেরিকাতেই মানুষ হারিয়েছে ৫৬০ কোটি ডলার।

 

আন্তর্জাতিক ব্যবস্থাগ্রহণ প্রয়োজন

 

এই চক্রের সঙ্গে লড়াই করার জন্য একটি আন্তর্জাতিক সংগঠন তৈরি প্রয়োজন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। বেজিং সম্প্রতি মিয়ানমারে একটি অভিযান চালিয়েছিল। সেখানে বেশ কয়েকটি গ্যাংয়ের অফিসে রেড করা হয়। প্রায় সাত হাজার কর্মীকে সেখান থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। যারা প্রায় ৫০টি দেশের মানুষ। বিভিন্নভাবে পাচার হয়ে তারা মিয়ানমার পৌঁছায় এবং তাদের এই অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত হতে বাধ্য করা হয়।

 

কাম্বোডিয়াতেও সম্প্রতি অভিযান চালানো হয়েছে। সেখানেও এমন বহু গ্যাং কাজ করছে। বস্তুত, সেখানে সরকারও লাগাতার অভিযান চালাচ্ছে।


এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ