সাবুল মিয়াঃ
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাতকের সদর ইউনিয়নের জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা মিজানুর রহমান হাছনুকে নাশকতার মামলায় গত ১৯ জুলাই জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।
১৮ দিন হাজতবাস শেষে গত (৬ আগষ্ট) মঙ্গলবার বিকেলে সুনামগঞ্জ জেলা কারাগার থেকে মুক্তি পান এ জামায়াত নেতা।
মুক্তি পাওয়ার পর বিজয় মিছিল সহকারে ছাতক সদর ইউনিয়নের রাতগাঁও পয়েন্টে এক সংবর্ধনার আয়োজন করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ছাতক সদর ইউনিয়ন শাখা।
ছাতক সদর ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি মাওলানা কবির আহমদের সভাপতিত্বে ও ছাতক সদর ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড সভাপতি মুজিবুর রহমান জাহরুর পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন ছাতক সদর ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি
ড: আবুতালেব মিলন, ১ নং ওয়ার্ড সভাপতি ফয়জুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ৫ নং ওয়ার্ড সভাপতি, আব্দুল বাতিন, ৫ নং ওয়ার্ড সেক্রেটারি সুহেল আহমদ, সাবেক শিবির কর্মী
রুহুল আমিন, আব্দুল মতিন, নূরুল হুসেন, হাফিজ গিয়াস উদ্দিন, ইসলাম উদ্দিন, আব্দুস সালাম, রফিক মিয়া, আতাউর রহমান, আবদুল মনাফ, আমিনুর রহমান ছারওয়ার, রুহুল আমিন রেদোয়ান, জালা উদ্দিন, আজুদ মিয়া, আব্দুর রশিদ, হাফিজ মিনহাজুর রহমান, দুদু মিয়া, মিজানুর রহমান, বিল্লাল আহমদ, সাইদ আহমদ, সম্রাজ মিয়া,আবুল কালাম, আক্তার হোসেনসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ।
সংবর্ধিত অতিথি মাওলানা মিজানুর রহমান হাছনু বলেন
আমি একজন নির্যাতিত কারাবন্দি মানুষ। দীর্ঘ ১৮ দিন কারাগারে ছিলাম মিথ্যা বানোয়াট মামলায়। আমার উপরে ৪ টি মিথ্যা মামলা দিয়েছিলো এই ফ্যাসিবাদি সরকার। জেল জুলুম করে ভয় দেখিয়ে আমাকে জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতি থেকে বাদ দিতে পারবেন না। আমি কোরআনের আইন প্রতিষ্টার সংগ্রামে ছিলাম, আছি এবং আমৃত্যু পর্যন্ত থাকবো। যারা আমাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করেছি আমি তাদের ক্ষমা করে দিলাম। এটাই আমাকে আমার দল বাংলাদেশে জামায়াতে ইসলামী শিখিয়েছে৷ পবিত্র মক্কা বিজয়ের পর আমাদের নবীজি মুহাম্মদ হযরত মুহাম্মদ মোস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম চাইলে প্রতিশোধ নিতে পারতেন কিন্তু তিনি প্রতিশোধ নেননি। আমরা সেখান থেকে শিক্ষা গ্রহণ করেছি। জুলুম নির্যাতন সহ্য করে যাব যতদিন না কোরআনে আইন কায়েম হচ্ছে এই দেশে। জেল জুলুম নির্যাতন করে আমাকে ধমিয়ে রাখতে পারবে না। আমি আমার ইউনিয়নসহ সকল ইসলামী আন্দোলনের ভাইদের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি যারা আমার পাশে থেকে আমাকে সর্বান্তক সহযোগিতা করেছেন।