বর্তমানে ভোগান্তির নতুন নাম জন্মসনদ ভোগান্তি। জন্মসনদ তৈরি করতে ভোগান্তির স্বীকার হয় নি এমন মানুষ খুজেঁ পাওয়া যাবে না। সাধারণ মানুষের ভোগান্তি পুঁজি করে মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে দালাল চক্র। দ্রুত সময়ের মধ্যে জন্মসনদ পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অঙ্কের টাকা।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি, পাসপোর্ট, চাকরিতে যোগদান, জাতীয় পরিচয় পত্র সহ নাগরিক সেবার ১৯ টি ক্ষেত্রে প্রয়োজন হয় জন্মসনদ। যা বর্তমানে জন্মসনদ একটি গুরুত্বপূর্ণ দলিলও বলা যায়। যা সবার ক্ষেত্রে আবশ্যিকভাবে বিশেষ প্রয়োজন। এমন কি কেউ মারা গেলেও মৃত্যু সনদ করতে প্রয়োজন হয় জন্মসনদের। মৃত্যু সনদ ব্যতিত উত্তরাধিকার নিশ্চিত করা যায় না। এক কথায় সব মিলে একজন নাগরিকের এই সনদ টি অনেক গুরুত্বপূর্ণ দলিল হিসেবে বিবেচিত করা যায়
জন্মসনদ এতটাই প্রয়োজন যে যা তৈরি করতে বিভিন্ন দালাল চক্রের খপ্পর পড়তে বাধ্য হয়। দ্রুত সময়ের মধ্যে সনদ দেওয়ার কথা বলে মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নিয়েও সঠিক সময়ের মধ্যে পাচ্ছে না সনদ। বিভিন্ন সার্ভার সমস্যার অযুহাতে বিলম্বিত হচ্ছে।
অনলাইনে আবেদন করার পরও সার্ভার সমস্যা,পিতা মাতার নামের বানান ভুল, অনলাইন কপিতে সমস্যা সহ নানান জটিলতার অজুহাত দেখিয়ে মাসের পর মাস ঝুলিয়ে রাখছে আবেদন।
এর কারনে সাধারণ মানুষ চরম ভোগান্তির স্বীকার হচ্ছে। স্কুলে ভর্তি এবং চাকরির প্রয়োজনে জন্মসনদ একটি গুরুত্বপূর্ণ সনদ ; কিন্তু সঠিক সময়ে তা পাওয়ায় অনেকে স্কুলে ভর্তি কিংবা চাকরি করতে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে।
এই সার্ভার সমস্যার কথা বলে প্রায় ২-৩ মাস পর্যন্ত জন্মসনদ কার্যক্রম স্থগিত হয়ে আছে। যা ডিজিটাল সমস্যা পরিণত হয়েছে।
দ্রুত সময়ের মধ্যে এই সমস্যার সমাধান করতে না পারলে চরম ভোগান্তি সহ বিপদে পড়তে হবে সাধারণ নাগরিকরা।