এফ আই রানা ,লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধি : লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলার জগতবেড় ইউনিয়নের পাটগ্রাম জিসি থেকে ভেরভেরিরহাট ভায়া মুন্সিরহাট গামী রাস্তার মাঝেই ২টি বড় গাছ রেখেই পিচ ঢালাই ও কার্পেটিং এর কাজ সম্পন্ন করেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান । রাস্তার মাঝে গাছ থাকার কারণে যেকোন সময় ঘটতে পারে প্রাণঘাতী দূর্ঘটনা।
পাটগ্রাম উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর সুত্রে জানা যায় ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে গ্রামীণ সড়ক রক্ষণা-বেক্ষণ কর্মসূচির আওতায় পাটগ্রাম জিসি ভেরভেরিরহাট ভায়া মুন্সিরহাট গামী চে.২০২০মি. ৩৭০০ মি. (৫.৫মি.প্রস্থ ও ১৬৮০মি. দৈর্ঘ্য) রাস্তার সংস্কার করণ কাজ ২কোটি ৩৩ লাখ ৮১৪.৫০ টাকায় দরপত্র আহ্বানের মাধ্যমে পিচ ঢালাই ও কার্পেটিং এর কাজ করার অনুমতি পায় স্থানীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স ফারিয়া কনস্ট্রাকশন। কিন্তু রাস্তার প্রসস্থ করণ করতে গিয়ে ওই সড়কের প্রায় মাঝ পথেই পড়ে ২টি বড় ডুমুরসহ মোট ৮টি গাছ। কিন্তু লালমনিরহাট জেলা পরিষদ ও বন বিভাগের অনুমতি না পাওয়ায় রাস্তার মাঝখানে গাছ রেখে দিয়ে যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করেছে ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সুত্রে জানা যায়, জেলা পরিষদ ও বন বিভাগের কাছে গাছ কাটার আবেদন করে অনুমতি না পাওয়ার ফলে ওই গাছ রাস্তার মাঝেই রেখে সম্পন্ন করা হয়েছে কার্পেটিং এর কাজ। কারন কাজের মেয়াদ ২১ জানুয়ারি ২৫ থেকে ১২ নভেম্বর হওয়ায় তারা তা করতে বাধ্য হয়েছে বলে জানায়।
গাছ রাস্তার উপর রেখে কাজ করার ফলে ওই রাস্তায় দিনের বেলা কিংবা শীতের ঘন কুয়াশায় যেকোন সময় যানবাহন গাছের সাথে ধাক্কা খেয়ে দূর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন ওই রাস্তায় চলাচলকারী পথচারী ও এলাকাবাসী।
রাস্তার নির্মাণ কাজে তদারকির দায়িত্বে নিয়োজিত উপ-প্রকৌশলী মানিক মিয়া গাছের কারনে মানুষ ও যানবাহন চলাচলের অসুবিধা হওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, গাছ কাটার অনুমতি না পাওয়ার কারনে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। তবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ওই খরচেই আরও এক বছর সময়ের মধ্যে কাজ করে দিবে বলে তিনি জানান।
পাটগ্রাম উপজেলার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রকৌশলী আহমেদ হায়দার জামান বলেন, গাছ কাটার চিঠি জেলা প্রশাসক, জেলা পরিষদ ও বন বিভাগের কাছে অনেক আগেই প্রেরণ করা হয়েছে। যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি পেলেই গাছ সরিয়ে রাস্তার কাজ করে দিবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের স্বত্ত্বাধিকারী আলহাজ্ব শামসুল হক বলেন, রাস্তার কাজ সমাপ্ত হলেও গাছ গুলো অপসারণের অনুমতি না পাওয়ায় সরানো সম্ভব হচ্ছে না। তবে যতদ্রুত সম্ভব গাছগুলো রাস্তার উপর থেকে সরিয়ে কাজ করার চেষ্টা চলছে।