শিরোনাম
সাংবাদিকদের কাছে আমার কাজের যৌক্তিক সমালোচনা আশা করি: চসিক মেয়র ডা: শাহাদাত হোসেন টেস্ট ক্রিকেট থেকে বিদায় নিলেন ইমরুল । উন্নয়ন কর্মী ইয়াকুবের নদী দখল করে পিলার নির্মান,প্রতিবাদে মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত তালায় ৩ দিন ব্যাপি কৃষি মেলা-২০২৪ এর উদ্বোধন লালমনিরহাটের পাটগ্রামে ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত -৪ বাংলাদেশের সংকটে বারবার কান্ডারীর ভূমিকায় জিয়া পরিবার : মীর হেলাল গাজীপুরা পূর্বপাড়া বাইগারটেক  সমাজ কল্যাণ পরিষদের নতুন কমিটি গঠিত। পাটগ্রামে আওয়ামী লীগ দুঃশাসনে চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে গণ মিছিল  সাধক আমিন ভাণ্ডারীর হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে তালা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন তালায় বিআরডিবির মাসিক যৌথসভা ও ই-প্রশিক্ষণের নামে অর্থ আত্মসাৎতের অভিযোগ
শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০:১৪ পূর্বাহ্ন

বেইলি রোডের গ্রিন কজি কটেজ ভবনটি এখন এক পুড়ে যাওয়া কঙ্কালের মতো দাঁড়িয়ে আছে। 

রিপোটারের নাম / ২৩৭ বার পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ১ মার্চ, ২০২৪

 

 

এইচটি বাংলা ডেস্ক: বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাত দশটার দিকে লাগা আগুনে পুড়ে যাওয়া রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কজি কটেজ নামের ভবনটির পুরোটা জুড়েই ছিল খাবার ও কাপড়ের দোকান। ভবনটির সামনেসহ সিঁড়িতে রাখা ছিল গ্যাসের সিলিন্ডার।

স্থানীয় ব্যবসায়ী ও লোকজনের সঙ্গে কথা বলে এবং গুগল স্ট্রিট ভিউয়ের আগের ছবিগুলো বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য পাওয়া যায়।

সিঁড়ি ও ভবনের সামনে রাখা গ্যাস সিলিন্ডারগুলোই প্রাণ নিয়ে বেরিয়ে আসার একমাত্র পথ সিঁড়িকে মৃত্যুকূপে পরিণত করে।

ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, সিঁড়িতে গ্যাস সিলিন্ডার থাকার কারণে পুরো সিঁড়িটি ‘অগ্নিচুল্লির’ মতো হয়ে গিয়েছিল। সে কারণেই কেউ সিঁড়ি ব্যবহার করে নামতে পারেনি।

ফায়ার সার্ভিস বলছে, যারা মারা গেছে তাদের বেশিরভাগ আগুনে পুড়ে নয়, বরং ধোঁয়ার কারণে নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে মারা গেছেন। এর আগে তারা অচেতন হয়ে পড়েছিলেন।

 

ভবনটির আগুন নেভানোর তেমন কোনো ব্যবস্থা ছিল না বলেও জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।

 

এছাড়া সিঁড়ি দিয়ে একসঙ্গে তিনজনের বেশি যাতায়াত করা যেত না বলেও স্থানীয়রা জানান।

 

পুরো ভবনটি এখন এক পুড়ে যাওয়া কঙ্কালের মতো দাঁড়িয়ে আছে। এ পর্যন্ত জীবন কেড়ে নিয়েছে ৪৬ জনের।

 

 

অল্প সময়ের মধ্যে অন্যতম ফুড জোন হিসেবে গড়ে ওঠা বেইলি রোডের এ ভবনটি ছিল খাবারপ্রেমীদের পছন্দের জায়গা। এ ভবনে ছিল অন্তত ১০ টির মতো নামি-দামি ব্রান্ডের খাবারের দোকান।

 

সাততলা এ ভবনের ছাদেও ছিল একটি রুফটপ রেস্টুরেন্ট।

 

ভবনটিতে পিজ্জা ইন, স্ট্রিট ওভেন, খানাসসহ বেশ কয়েকটি রেস্টুরেন্ট ছিল। এছাড়া ইলিয়েন, ক্লোজেস্ট ক্লাউডসহ জনপ্রিয় বিপণিবিতানও রয়েছে। ভবনের দ্বিতীয় তলায় ‘কাচ্চি ভাই’-এর শাখা ছিল।

 

এচাড়া গ্রাউন্ড ফ্লোরে স্যামসাংয়ের একটি শোরুম ছিল। নিচতলায় ছিল তিনটি মোবাইলের দোকান।

 

ভবনটির চারতলায় পিজ্জা ইনে কাজ করতেন শাখাওয়াত হোসাইন। তিনি আগুন দেখে পেছন দিক থেকে পাইপ ধরে নামেন।

 

শাখাওয়াত এইচটি বাংলাকে বলেন, একটি নতুন রেস্টুরেন্ট থেকে আগুন প্রথম দেখা যায়। সেই আগুন মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে।

 

তিনি বলেন, এ ভবনে অন্য সব ভবনের চেয়ে বেশি ভিড় লেগেই থাকত। এখানে দুটি ভবনে সবসময় ভিড় থাকত—এই ভবনটি আর পাশের ভবনটি।

 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ভবনটির নিচের দিকে আগুন লাগে এবং পরে তা উপরে ছড়িয়ে পড়ে।

 

নিচতলায় আগুন লাগার কারণে ভবনটির উপরের তলাগুলোতে আটকা পড়েন অনেকে।

 

প্রাণ বাঁচানোর জন্য উপর থেকে মানুষ লাফিয়ে পড়ে। সিঁড়ি দিয়ে নামার চেষ্টা করেও পারেননি অনেকে।

 

দুই-তিনতলা থেকে লাফিয়ে পড়ে অনেকে হাত-পা ভেঙে আহত হয়েছেন। তবে তারা বেঁচে গেছেন।

 

বেইলি রোডের ভিকারুননিসার মোড় থেকে ভিআইপি সড়ক পর্যন্ত প্রায় ৩০টি ভবনে অন্তত ১৫০টি খাবারের দোকান রয়েছে। যেগুলোর মধ্যে নামি-দামি খাবারের দোকানের শাখা রয়েছে।

 

শুক্রবার এই এলাকা ঘুরে দেখা যায়, কিছু কিছু ভবনের খাবারের দোকানগুলো চালু হলেও অধিকাংশ বন্ধ রয়েছে।

 

এ এলাকা গত ৪-৫ বছরে ভোজনবিলাসীদের এক অন্যতম স্থান হয়ে উঠেছে। গড়ে উঠেছে অনিয়ন্ত্রিতভাবে বিভিন্ন খাবারের ও কাপড়ের দোকান।

 

এসব খাবারের দোকানের অধিকাংশ দোকানেই সিলিন্ডারের গ্যাস ব্যবহার করা হয়।


এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ