শিরোনাম
বিতর্ক মানুষের ব্যক্তিত্বকে আলোকিত ও বুদ্ধিসম্পন্ন করে: চুয়েট ভিসি বিচারবিভাগ ও জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন হাতে পেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া  বিলিয়ন ডলার উদ্ধারে কানাডার সহযোগিতা চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা লালমনিরহাটে মৃত গরুর মাংস বিক্রি -ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান সঠিক কাঠামো অনুসরণ করা গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য অত্যন্ত জরুরি : চুয়েট ভিসি যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় অভিবাসীদের ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বিপিএলে ফিক্সিং নিয়ে তদন্তের কাজ করছে বিসিবি । চাঁপাইনবাবগঞ্জে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের গঙ্গাস্নান অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ব্যাংকে সকল কর্মকর্তাদের সব লকার ফ্রিজ করা হয়েছে।  গ্র্যান্ড ইভেন্ট ‘জিপিএইচ মহারাজ দরবার’ অনুষ্ঠিত
বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৫:৫৫ অপরাহ্ন

এক রোহিঙ্গার এনআইডি যাচাই করতে এসে আরেক রোহিঙ্গা আটক

রিপোটারের নাম / ৩৪ বার পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ১০ জানুয়ারি, ২০২৫

 

ইমতিয়াজ উদ্দীন, পটিয়া প্রতিনিধি: আরকানের বুদিডং জেলার তৃনং কাঠায়াংগাছি এলাকার বাসিন্দা মো. সাবের। ২০১৭ সালে উখিয়া বালুখালি ক্যাম্পের ১৭ নম্বর ব্লকে এসে বসবাস শুরু করেন। ২০২২ সালে গাজীপুরের কোনবাড়ি এলাকার বাইমাইল, কাশেম কটন মিলের ঠিকানায় বাংলাদেশের ভোটার ও এনআইডি কার্ড সংগ্রহ করেন। সেখানে তিনি তার পিতার নাম লিখেন মিজানুর রহমান ও মাতার নাম দেন রহিমা বেগম। প্রকৃতপক্ষে তার পিতার নাম আবদুল হাকিম এবং মাতার নাম সৈয়দা বেগম।

 

গতকাল বৃহস্পতিবার আরেক রোহিঙ্গা নাগরিক আনোয়ার কামালের এনআইডি কার্ড ব্লক কেন জানতে তিনি পটিয়া উপজেলা নির্বাচন অফিসে আসেন। নির্বাচন অফিসার আরিফুল ইসলাম কামালের এনআইডি কার্ড যাচাই করতে গিয়ে দেখেন ২০১৮–১৯ সালে অনেক রোহিঙ্গা ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় কেন্দ্রীয় সার্ভার থেকে তাদের এনআইডি ব্লক করে দেয়া হয়েছে। কামালের এনআইডিও সেই তালিকাভুক্ত। কামাল রোহিঙ্গা নাগরিক হওয়া সত্ত্বেও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের পশ্চিম ষোলশহর এলাকার সহকারী নিবন্ধক শিশু রানী দে ২০১৮ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর পটিয়া পৌরসভার দক্ষিণ গোবিন্দারখীল এলাকার ঠিকানায় তাকে জন্ম নিবন্ধন সনদ প্রদান করেন। উপজেলা নির্বাচন অফিসার নিশ্চিত হন কামাল রোহিঙ্গা নাগরিক এবং তার ঠিকানাও ভুয়া। তার কাগজপত্র যিনি নিয়ে এসেছেন সেই সাবেরকেও রোহিঙ্গা সন্দেহ করে অফিসে বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এক পর্যায়ে নিশ্চিত হন আগন্তুক রোহিঙ্গা।

 

এসময় তার কাছে রাফিদা বেগম নামে আরো একটি এনআইডি কার্ডের ফটোকপি পাওয়া যায়। যার ঠিকানা কর্ণফুলী উপজেলার শিকলবাহা এলাকার জল্লুর কলোনী। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারহানুর রহমানকে জানানোর পর তিনিও জিজ্ঞাসাবাদে নিশ্চিত হন সাবের রোহিঙ্গা নাগরিক। পরে পটিয়া থানাকে খবর দিলে অবৈধ এনআইডি তৈরি, রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে বেরিয়ে যাওয়ার অভিযোগে সাবেরকে আটক করে থানা পুলিশ।

 

আটক রোহিঙ্গা নাগরিক মো. সাবের জানিয়েছেন, ক্যাম্পের অনেকেরই বাংলাদেশের এনআইডি কার্ড আছে। তিনি যার এনআইডি কার্ড যাচাই করতে এসেছেন তাদের পরিবারের সবাই এনআইডি কার্ডধারী। তিনি পটিয়া আল জামেয়া মাদ্রাসায় পড়ালেখা করেন।

 

এ বিষয়ে পটিয়া থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই আসাদুল ইসলাম জানান, আটক রোহিঙ্গার বিষয়ে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

 

উল্লেখ্য, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় টাকার বিনিময়ে শত শত রোহিঙ্গা দেশে ভোটার তালিকায় ও এনআইডিতে নাম অন্তর্ভুক্ত করে। আসন্ন ভোটার তালিকায় তাদের নাম বাদ দেয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে।


এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ