শিরোনাম
তালায় আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস-২০২৪ পালিত পর্তুগাল মানবিক ভিসা চালু করতে যাচ্ছে। মহানবমী ও বিজয়া দশমীর পূজা পরিদর্শনে বিএনপি নেতা ব্যারিষ্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন। তাহিরপুরে পর্যটকদের মধ্যে  দর্শনীয় স্থান পরিচয় করিয়ে দিতে দৃষ্টিনন্দন সাইনবোর্ড স্থাপন করলেন মেম্বার পুত্র ছাত্তার ছাতক ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদের সমন্বয় কমিটি গঠন করা হয়েছে ছাতক উপজেলা ও পৌর শাখা খেলাফত মজলিস নেতৃবৃন্দের পূজাঁ মন্ডপ পরিদর্শন চন্দনাইশ পৌরসভা আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি সংসদের কমিটি গঠন চন্দনাইশ উপজেলা আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি সংসদের কমিটি গঠন বৃহস্পতিবার ব্যাংক বন্ধ থাকবে। খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর চাল নিয়ে মিলার সফিকের বিরুদ্ধে অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ
মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:৫১ অপরাহ্ন

ভ্রমণ মানুষকে তাজা রাখে –একটি আলোচনা । 

রিপোটারের নাম / ১৬৮ বার পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : রবিবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০২৩

 

 

ভ্রমণ শব্দটির উৎস ইতিহাসের কালে প্রায় হারিয়ে যেতে বসেছে । ভ্রমণ বা ট্রাভেল শব্দটার উৎপত্তি হয়েছে আদি ফরাসি শব্দ travail থেকে । ফরাসি শব্দ travail অর্থ শ্রম, পরিশ্রম, (labor, toil, ) ইত্যাদি । আবার travailler অর্থ হচ্ছে কাজ, পরিশ্রম, শ্রম, যন্ত্রণা, কষ্ট, (Work, labor, toil, suffering from painful efforts, troubles, ) ইত্যাদি । অনেকের মতে প্রাচীনকালে ভ্রমণ ছিল ভীষণ কষ্টকর । তাই travailler শব্দটা কষ্টকর জ্ঞাতার্থে ব্যবহৃত হতে পারে । তবে বর্তমান ডিজিটাল যুগের প্রেক্ষাপটে বলা যেতে পারে, ভ্রমণের ভাল-মন্দ, কষ্ট-আরাম, নির্ভর করছে গন্তব্যস্থলের উপর । যেমন মাউন্ট এভারেস্টে ভ্রমণ ঝুঁকির ও কষ্টের ।

এবার আসছি, ভ্রমণ বলতে আমরা কী বুঝি ? ভ্রমণের ব্যবহারিক অর্থ নানানরকম । যেমন প্রাতকালীন ভ্রমণ, বৈকালিন ভ্রমণ, নদীর পারে ভ্রমণ, জ্যেৎস্নার আলোয় পায়ে হেঁটে ভ্রমণ, ট্রেনে-বাসে-উড়োজাহাজে-জলযানে ভ্রমণ, ইত্যাদি । যদি ভ্রমণের মাধ্যম ধরি তাহলে ভ্রমণ হতে পারে হাঁটা, কিংবা সাইক্লিং’এর মাধ্যমে অথবা গাড়িতে যেমন পাবলিক পরিবহন, প্রাইভেট গাড়ি, রেল বা বিমান । আক্ষরিক অর্থে আমরা যেটা বুঝি ভ্রমণ অর্থ বেড়ানো, ঘোরাঘুরি, এক জায়গা থেকে আর এক জায়গায় যাওয়া, অর্থাৎ পর্যটন করা । অন্য অর্থে দেশের বিভিন্ন স্থানে ভ্রমণ । এছাড়া ভ্রমণ অর্থ যেটা বুঝি, সেটা হচ্ছে চিত্তবিনোদন, পর্যটন ও অবকাশ যাপন । ভ্রমণ মানুষের জীবনে আনে বৃহত্তের আহ্বান । আনে অজানা সৌন্দর্যের সংবাদ । অচেনার সান্নিধ্যে মানুষ পায় বিষ্ময়ের শিহরণ । তাই ভ্রমণ শুধুমাত্র দেশের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বিদেশ ভ্রমণও সমানভাবে উল্লেখযোগ্য । তবে এটাও ঘটনা, মানুষের মধ্যে ভ্রমণের আবশ্যিক দিক নিজের দেশকে জানবার, বোঝবার, দেখার । কিছু মানুষ তথ্য জোগাড়ের জন্য গবেষণা ভ্রমণও করেন । নিজের জন্মস্থানের গাঁ-গঞ্জ-শহর-নগর থেকে বেরিয়ে দেশের ও বিদেশের দ্রষ্টব্য স্থানের ভৌগলিক অবস্থান, তার ইতিহাস, রাজনীতি বা তার নৃতত্ত্ব জানাটা ভ্রমণের মুখ্য উদ্দেশ্য । তা ছাড়া দিনের পর দিন একই পরিবেশের একঘেয়ে জীবন যাপন থেকে ক্ষণিকের মুক্তি । একটু বৈচিত্র্যের আস্বাদনের উপলব্ধি, যে বৈচিত্র্য আমাদের দেয় অপরিসীম আনন্দ ।

যদি নিজের দেশ ভারতকেই ধরা যায় তাহলে দেখা যাবে, একই দেশে বাস করা সত্ত্বেও বিভিন্ন প্রদেশের মানুষের মধ্যে বিভিন্ন প্রকারভেদ । নানান ধর্ম, নানান জাতির মানুষের বসবাস । বিভিন্ন ভাষার বিভিন্ন বর্ণের মানুষ । প্রত্যেকের জাতিসত্বা, ভাষার প্রয়োগ, ধর্মের আচরণ, এমনকি সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি আলাদা আলাদা । যার জন্য ভ্রমণ পিপাসু মানুষদের ভ্রমণের মাধ্যমে দেশকে চেনার, দেশের মানুষদের জানবার আকাঙ্খা প্রবল । দেশের বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে পরিচয়ের মাধ্যমে নানাবিধ অভিজ্ঞতা সঞ্চয় ও নতুন-নতুন অজানা তথ্য বা জ্ঞান আহরণ সম্ভব । বিচিত্র আমাদের দেশ এবং বিচিত্র তার অধিবাসী । আরও বিচিত্র তাদের সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডল এবং সামাজিক রীতিনীতি । আমদের দেশে অনেক অরণ্য, সমুদ্র, পাহাড়, পর্বত । নিসর্গ প্রকৃতির কতো অফুরান বৈভব, কতো পশু-পাখী, জীবজন্তু । ভ্রমণের মাধ্যমে সেগুলির পূর্ণভাবে উপলব্ধি সম্ভব । এখানে বলা যেতে পারে, ভ্রমণ অন্য কথায় শিক্ষার একটি অঙ্গ ।

ভ্রমণের পরিধি নির্ধারণে অবশ্যই আর্থিক সঙ্গতির প্রসঙ্গ উল্লেখযোগ্য । ভারত আমাদের উন্নয়নশীল দেশ । এখানে মাথাপিছু আয় প্রয়োজনের তুলনায় খুব কম । ফলে মানুষের যতোটুকু আয় প্রায় ততোটুকুই সংসার নির্বাহের জন্য নিঃশেষিত হয়ে যায় । যার জন্য সংসার বাঁচিয়ে উদবৃত্তের পরিমাণ খুব কম । তবুও ভ্রমণ পিপাসু মানুষ সংসারের খরচা বাঁচিয়ে ঐ নগণ্য আয় থেকে ভ্রমণের জন্য জমিয়ে রাখে । অভিজ্ঞতার নিরিখে এটা পরিষ্কার, চাকুরিজীবিদের মধ্যে ভ্রমণের নেশা তুলনামূলকভাবে বেশী । ভ্রমণের প্রতি তাঁরা বেশী সংবেদনশীল । দেখা গেছে চাকুরিজীবি মানুষ একনাগাড়ে ছয় মাস অফিস করলে হাঁফিয়ে ওঠেন । তখন তাঁদের শরীর-মন ক্ষণিকের জন্য একঘেয়ে জীবনের অবসান ঘটানোর নিরিখে কোনো প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা স্থানে নিরিবিলিতে সময় কাটাতে চান । সামর্থ্য অনুযায়ী তখন ব্যস্ততম কর্মজীবন থেকে ক্ষণিকের জন্য নিবৃত্তি । মুক্তির আস্বাদনের তাগিদে তাঁদের ভ্রমণ ।

ভ্রমণের ক্ষেত্রে শারীরিক সুস্থতা ভীষণ জরুরি । আবার অনেকে ডাক্তারী পরামর্শ মতো হাওয়া বদলের জন্য ছোটেন । খুব স্বল্প সংখ্যক মানুষ বিশ্রাম নিতে বেড়ানোর দ্রষ্টব্যস্থানগুলিতে যান । কিছু ভ্রমণ পিপাসু মানুষের ধারণা, ভ্রমণের মাধ্যমে তাঁদের শরীরে তাজা অক্সিজেন ঢোকে । এইজন্য ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, উকিল, রাজনীতিবিদ, বরিষ্ঠ নাগরিক, ইত্যাদি পেশার মানুষ সাময়িক বিশ্রামের তাগিদে বিভিন্ন দ্রষ্টব্যস্থানে ভ্রমণ করেন । সুতরাং ভ্রমণের প্রেক্ষাপট চিন্তা করলে দেখা যায়, ভ্রমণ শুধুমাত্র চিত্ত বিনোদনের জন্য নয় । ভ্রমণ মানুষের মধ্যে বিবেচিত হয় বিভিন্ন প্রয়োজনে । এছাড়াও শিক্ষামূলক ভ্রমণ, ব্যবসা-বাণিজ্যিক ভ্রমণ, রোগ চিকিৎসার জন্য ভ্রমণ, ধর্মীয় কারণে ভ্রমণ, সর্বজনবিদিত ।

ভ্রমণের স্থান, কাল, ইত্যাদির ব্যাপারে ভ্রমণ পিপাসু মানুষের নিজস্ব চিন্তাভাবনাটা অগ্রগণ্য । কিছু মানুষের হিল স্টেশনে ভ্রমণের প্রতি দুর্বলতা । তাই তাঁরা বিভিন্ন হিল এলাকা ভ্রমণের জন্য বেছে নেন । যেমন দার্জিলিং, সিমলা, উটি, কাশ্মীরের পহেল গাঁও-সোনমার্গ-গুলমার্গ, লে-লাদাখ, মাউন্ট আবু, কোহিমা, ইত্যাদি । শোনা যায়, হিল স্টেশনে বেড়ানোর আর একটা মজা সেটা হচ্ছে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য । সমতলভূমি থেকে পাহাড়ে উঠবার সময় রাস্তার দুধারে প্রকৃতির অকৃত্রিম সবুজের ভাণ্ডার । বিভিন্ন ধরনের গাছ গাছালির অফুরন্ত সমারোহ । যা দেখলে চোখ সরানো দায় ! তার উপর এক পশলা বৃষ্টি হলে রাস্তার দুইধারে বৃষ্টি স্নাত গাছ-গাছালির প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য মনোমুগ্ধকর । পাহাড়ি এলাকাতে প্রাকৃতিক সমারোহের প্রাচুর্য এত থাকলে কী হবে, সেখানকার মানুষের দৈণ্যদশা প্রকট । তাঁদের অর্থনৈতিক অবস্থা তথৈ-ব-চ । শোচনীয় তাঁদের দৈনন্দিন জীবন যাপন । ক্ষেতি জমিতে ফসল উৎপাদনের হালহকিকৎ দুঃখজনক । যার জন্য তাঁরা পর্যটকের উপর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে নির্ভরশীল । প্রায় শতকরা ৪০ ভাগ মানুষ পর্যটন ব্যবসার উপর নির্ভরশীল । কিছু কিছু পাহাড়ি এলাকায় পর্যটকের সংখ্যা খুবই কম । উত্তর-পূর্বাঞ্চলের পাহাড়ি এলাকা যেমন কোহিমা, ইম্ফল, আইজল, ইত্যাদি । অথচ এইসব হিল স্টেশনের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য কোনো অংশে কম নয় । ভ্রমণ পিপাসু মানুষের সংখ্যা ঐ সমস্ত এলাকায় বেশী মাত্রায় ভিড় করলে এলাকার জনগণের মধ্যে অর্থনৈতিক স্বাচ্ছন্দ্য বাড়তো । সুতরাং ভ্রমণের ক্ষেত্রে দ্রষ্টব্যস্থান বাছাটাও গুরুত্বপূর্ণ ।

সমুদ্র তীরবর্তী শহরে অন্যান্য সম্প্রদায়ের মানুষের চেয়ে বাঙালীদের ভিড় চোখে পড়ার মতো । অনেক বাঙালী সমুদ্র তীরবর্তী অঞ্চল হিসাবে প্রথমেই পুরী’কে বেছে নেন । পুরীর সমুদ্রের উদ্দেশে ভ্রমণের আরও একটি কারণ — পুরীর জগন্নাথ মন্দির দর্শন । আবার পুরীতে রয়েছে ঐতিহাসিক কোনারক যেখানে প্রচুর মানুষেরা ভিড় করেন । ইদানীং দীঘার সমুদ্র সৈকতে মানুষের ভিড় নজরকাড়া । কেননা দীঘার সমুদ্রের পার আধুনিক সজ্জায় সুসজ্জিত । সরকারি দৃষ্টির সৌজন্যে দীঘার সমুদ্র সৈকতে ভ্রমণ এখন ভীষণ জনপ্রিয় । ভ্রমণ পিপাসু মানুষের কাছে আকর্ষণীয় হচ্ছে সমুদ্রের বীচ । সমুদ্রের বীচের বালিতে পর্যটকদের হেঁটে অফুরন্ত আনন্দ । যার জন্য চেন্নাইয়ে ম্যারিনা বীচ, গোয়ার ক্যারাঙ্ঘুটে বীচ, মুম্বাইয়ের জুহু বীচ, কন্যাকুমারীর তিনটি সমুদ্রের সঙ্গমস্থলের বীচ, ভ্রমণ পিপাসু মানুষের কাছে আজও আকর্ষণীয় । তা ছাড়া সমুদ্রের সন্নিহিত অঞ্চলে ব্যবসা বাণিজ্যের বাড়-বাড়ন্ত চোখে পড়ার মতো । খেজুরীর সমুদ্র সৈকতে ইদানীং ভ্রমণ পিপাসু মানুষের ঢল নজরকাড়া ।

মন্দির, মসজিদ, গীর্জা, ইত্যাদি দর্শনও ভ্রমণের অন্যতম উদ্দেশ্য । অনেক ভ্রমণার্থী মন্দির দর্শনের পাশাপাশি মন্দিরের দেবতার পুজো দিতে উৎসাহী । ধর্মের প্রতি অনুরাগ মানুষের মধ্যে কমবেশী বিরাজিত । সেই আকাঙ্খা থেকেই ধর্মীয় স্থানে ভ্রমণের ঈপ্সা । তা ছাড়া জানারও আকাঙ্খা প্রবল । যেমন দক্ষিণ ভারতে তিরুমালায় মন্দির (বেঙ্কটেশ্বর), অসমে কাম্রুপ কামাক্ষার মন্দির, আজমীরে মসজিদ, কোহিমায় ক্যাথিড্রাল চার্চ, পুরীতে জগন্নাথ মন্দির, মুম্বাইতে মাতা লক্ষ্মী মন্দির, জম্মুতে কাটরায় বৈষ্ণদেবী মন্দির, ইত্যাদিতে ভ্রমণের আকাঙ্ক্ষা মানুষের মধ্যে প্রবল ।

ভ্যালী এলাকায় ভ্রমণ পিপাসু মানুষ ছুটছেন । শিমলা থেকে কিন্নর ভ্যালী, লাদাখে নুব্রা ভ্যালী, মানুষের কাছে আজও আকর্ষণীয় । বড় দ্বীপ বলতে অসমের মাজুলি দ্বীপ । শোনা যায় মাজলি দ্বীপ এশিয়ায় বিখ্যাত । অসমের যোরহাট থেকে মাজুলি যাওয়া সহজ । বিশাল ব্রহ্মপুত্র নদের (ব্রহ্মপুত্র হচ্ছে পুরুষ নদী) মধ্যেখানে মাজুলি দ্বীপ । অনেকেই ছুটছেন মাজুলি দ্বীপ ভ্রমণে । এছাড়া আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে অনেকগুলি দেখার মতো দ্বীপ রয়েছে । হ্যাভলক দ্বীপ তার মধ্যে অন্যতম । উত্তর-পূর্ব রাজ্যে চা-বাগান উল্লেখযোগ্য । যেমন ডিব্রুগড় জেলা জুড়ে চা-বাগান । তা ছাড়া দার্জিলিঙের চা-বাগান এবং চায়ের গুণ বিশ্বজোড়া । এইসব চা বাগানে মনে হয় প্রকৃতি সবুজ গালিচা পেতে রেখেছে । দেশের বিভিন্ন প্রান্তে রয়েছে জঙ্গলের সমারোহ । পশ্চিম বঙ্গের জলদাপাড়ার জঙ্গল, অসমের কাজিরাঙ্গার জঙ্গল উল্লেখযোগ্য । কাজিরাঙ্গার জঙ্গলের খ্যাতি বিশ্বজুড়ে । কেননা কাজিরাঙ্গা জঙ্গলে গন্ডারের বিচরণ অন্যতম । তা ছাড়া পশু, পাখী, জীব-জন্তুতে ভরা । জানার ও দেখার স্পৃহার শেষ নেই । সেটা রাঁচীর পাগলা গারদ হোক বা কারগিলের যুদ্ধস্থান হোক বা অমৃতস্বরের স্বর্ণমন্দির হোক । ভ্রমণ পিপাসু মানুষ সতত ছুটছেন তাঁদের একটানা দম-বদ্ধ জীবন থেকে সাময়িক মুক্তির খোঁজে ।

মানুষের মধ্যে ভ্রমণের সময় নির্ধারণ করা বড্ড কঠিন । পরীক্ষা বা পড়াশুনার ব্যস্ত সময়ে ভ্রমণের ইচ্ছা প্রসমিত থাকে । তেমনি চাষিদের চাষের মরশুম, ব্যবসায়ীদের ব্যবসার ধামাকার সময় যেমন দুর্গা পুজা, ইত্যাদির সময়, চাকুরিজীবিদের চাকরিস্থলে ছুটি গ্রান্ট না হলে, ভ্রমণের ইচ্ছা নৈব-নৈব-চ । এত কিছুর মধ্যও ভ্রমণ পিপাসু মানুষ ভ্রমণের তাগিদে দেশ বিদেশ ছুটছেন । কেননা ভ্রমণ মানুষকে সতেজ ও প্রফুল্ল রাখে ।

 

লেখক:

দিলীপ রায়

আন্তর্জাতিক সাহিত্যিক

(৯৪৩৩৪৬২৮৫৪)


এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ