নিজস্ব প্রতিবেদক: চট্টগ্রামের চন্দনাইশে আদালতের নিষেধাজ্ঞা ভূমিতে দূর্বৃত্তের খামার নির্মাণে বাঁধা দিলে ভুক্তভোগী পরিবার হুমায়ুন কবির এর ওয়ারিশের উপর হামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন। গত ২২ মার্চ দুপুর উপজেলার দোহাজারী পৌরসভা সদর একটি রেস্টুরেন্টে হুমায়ুন কবিরের ওয়ারিশের পক্ষে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সাংবাদিকদের সামনে লিখিত বক্তব্যে পাঠ করেন এড. সরোয়ার আলম চৌধুরী । ১৯৮৭ সালে হুমায়ুন কবিরসহ ৫ জন মিলে জসিম উদ্দীন খানকে অর্ধেক মূল্য পরিশোধ করে বায়না নামা মূলে দোহাজারীর ময়নার বাপের পাহাড়ের ৩০ একর জমি ক্রয় করে। তাতে ১৫/২০ হাজার বিভিন্ন জাতের গাছ লাগিয়ে জমির চারপাশে ঘিরা বেড়া দিয়ে দখল পাকা পোক্ত করেছিলেন। প্রয়াত জসিম উদ্দীন খান লোভে পড়ে আমাদের কাছে হস্তান্তর করা জমি থেকে ২০ একর জমি একটি ব্যাংকের কাছে ২০০২ সালে আবার বিক্রি করে। এই বিষয়ে আদালতে প্রয়াত হুমায়ুন কবির গং মামলা দায়ের করেন। আদালত হুমায়ুন কবির গং এর পক্ষে রায় ডিক্রি প্রদান করেন। আদালত ২০০২ সালে পূনরায় ইউসিবিএল এর কাছে বিক্রি করা ২০ একর জমির দুটি দলিল পনশূন্য, অকার্যকর ও বাতিল ঘোষণা করেন। এই রায়ের বিরুদ্ধে জসিম উদ্দীন খানের ওয়ারিশ পারভীন সুলতানা গং এবং ইউসিবিএল আপীল মামলা দায়ের করেন। পারভীন সুলতানা গং এর আপীল খারিজ হয়ে গেলে মিস আপীল দায়ের করেন। ঐ মিস আপীল ও খারিজ হয়ে যাবার পর তারা জমির মালিকানার দাবি ছেড়ে দেয় এবং আর কোন মামলা দায়ের করেন নাই। কিন্তু ইউসিবিএল এর আপীল মামলা চলমান আছে এবং সেই মামলায় ২০১১ সাল থেকে আপীল নিষ্পত্তি পর্যন্ত স্থিতাবস্থার আদেশ জারি করা আছে। উচ্চ আদালতের সিদ্ধান্ত মেনে জমির মালিকানা ত্যাগ করা পারভীন সুলতানা গং এর সাথে আঁতাত করে এলাকার দুষ্টচক্র ও আওয়ামী সন্ত্রাসী সফিউল আলম পারভেজ তৎকালীন এসিল্যান্ডের সাথে যোগ সাজসে আদালতে মালিকানা ত্যাগ করা জমির বিপরীতে ভুয়া ও অকার্যকর নাম জারী খতিয়ান সৃজন করে জমি দখলের পায়তারায় মাঠে নেমেছে। বর্তমান এসিল্যান্ড ডিপ্লোম্যাসি চাকমা তাকে বার বার নিষেধ করা সত্ত্বেও এই সন্ত্রাসী সফিউল আলম পারভেজ গুন্ডা সমাবেশ ঘটিয়ে গৃহ নির্মাণ প্রচেষ্টায় ময়নার বাপের পাহাড়ের সুনিবিড় ও শান্ত গ্রামীণ জনপদে খুনোখুনী করতে চাইছে। ভুক্তভোগী পরিবার ন্যায়বিচারের স্বার্থে সফিউল আলম পারভেজ ও তার পোস্যদের গ্রেফতার করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান। এসময় উপস্থিত ছিলেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য যথাক্রমে, সাইদুল্লাহ, আমির হোসেন, মো. সেলিম, মামুনুর রশিদ, রাজিব উল্লাহ, মুহিবুল্লাহ, মো. আবছার, মো. ওয়াহিদ, নুরুল ইসলাম।