শিরোনাম
পোরশায় প্রাণী সম্পদ দপ্তর কর্তৃক ৮৫০ জন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সুফল ভোগীর মাঝে দানাদার খাদ্য বিতরণ। আইজিপি ব্যাজে ভূষিত হচ্ছেন মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার এম.কে.এইচ. জাহাঙ্গীর হোসেন টাঙ্গাইলে শোলাকুঁড়িতে বার্ষিক স্নান ও মেলা সম্পন্ন ইরানের ভয়াবহ রাসায়নিক বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা ২৫ ,  আহত হয়েছেন ৮০০ শিক্ষকদের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধিতে “Quality Teaching” শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত ৬৩ লাখের বেশি নতুন ভোটার বাদ পড়েছে মৃত ২৩ লাখ ভোটার। শুটকিজ আয়োজিত সী ফুড শেফ চ্যালেঞ্জ-২০২৫ এর চ্যাম্পিয়ন আবদুল্লাহ ফাহিম চট্টগ্রামে ৫০০ শয্যার হাসপাতাল নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়েছে অন্তবর্তীকালীন সরকার। পোপ ফ্রান্সিস এর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগদান করেছেন প্রধান উপদেষ্টা। নদীভাঙন রোধে কাফনের কাপড় পরে মানববন্ধন
সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৫৬ অপরাহ্ন

 

পোরশায় প্রাণী সম্পদ দপ্তর কর্তৃক ৮৫০ জন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সুফল ভোগীর মাঝে দানাদার খাদ্য বিতরণ।

রিপোটারের নাম / ১৫ বার পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : সোমবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৫

 

মোঃ কামরুজ্জামান সরকার বাবু পোরশা প্রতিনিধি : নওগাঁর পোরশায় উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতাল কর্তৃক “সমতল ভুমিতে বসবাসরত অনগ্রসর ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক ও জীবন মানোন্নয়নের লক্ষ্যে সমন্বিত প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্প” এর আওতায় ৮৫০ জন মুরগি পালনকারী সুফলভোগীর মাঝে দানাদার খাদ্য হিসেবে ৩০.৯ কেজি এবং ৬৬৫ জন হাঁস পালনকারী সুফলভোগীর মাঝে ৪১.৯ কেজি করে দানাদার খাদ্য সরবরাহ করা হয়।

 

উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার জবাব ডাঃ মোঃ জাহাঙ্গীর আলম এর সভাপতিত্বে উক্ত বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পোরশা উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব মোঃ আরিফ আদনান; উপস্থিত ছিলেন পোরশা থানা অফিসার ইন চার্জ জনাব মোঃ আবু বকর ছিদ্দিক; প্রকল্প কর্মকর্তা, পল্লী জীবিকায়ন প্রকল্প জনাব মোঃ মঞ্জুর মোর্শেদ; প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা, এলডিডিপি ডাঃ মোঃ গোলাপ হোসেন; উপ-সহকারী প্রাণিসম্পদ অফিসার’সহ অন্যান্য স্টাফবৃন্দ।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার বলেন, পোরশা উপজেলায় বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের উদ্যোগে গরু, ছাগল-ভেড়া, হাঁস-মুরগি বিতরণ, ঘর নির্মান সহ নানামুখী কর্মকান্ড পরিচালিত হয়ে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় এ উপজেলায় ৮৬০ টি নৃগোষ্ঠী পরিবারের মধ্যে ২০ টি করে মুরগি, ৬৬৫ টি পরিবারে ২০ টি করে হাঁস, ৭১৪ টি পরিবারের মধ্যে ২ টি করে ভেড়া, ৫০০ টি পরিবারের মধ্যে বকনা ও ষাঁড় গরু বিতরণ করা হয়েছে। প্রাণিসম্পদের প্রতিটি কম্পোনেন্ট বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে লালন-পালনের লক্ষ্যে সুফলভোগীদের মাঝে দানাদার খাদ্য, ঔষধ ও অন্যান্য উপকরণ সরবরাহ করা হয়েছে। প্রকল্পের নির্দেশনা মোতাবেক আজকে দ্বিতীয় পর্যায়ে ১৫১৫ জন হাঁস-মুরগি প্রাপ্ত সুফলভোগীদের মাঝে যথাক্রমে ৪১.৯ কেজি ও ৩০.৯ কেজি করে দানাদার খাদ্য সরবরাহ হয়েছে। এ সুযোগ-সুবিধাগুলোর মাধ্যমে তারা প্রাণিসম্পদ সেক্টরের উন্নয়ন তথা তাদের ভাগ্যের উন্নয়ন ঘটাবে বলে মনে করি।

প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, সম্পদ বলতে আমারা শুধু টাকা পয়সা বুঝি। কিন্তু প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে হাঁস-মুরগি, ছাগল-ভেড়া বা গরু হিসেবে আপনারা যা পেয়েছেন এটাই প্রকৃত সম্পদ। এটা সঠিক পরিচর্যা এবং লালন-পালনের উপর নির্ভর করবে আপনার সম্পদ কতটুকু বৃদ্ধি পাবে।আজকে যে দানাদার খাদ্যগুলো পাচ্ছেন এগুলো আপনার হাঁস-মুরগি গুলোকে খাওয়াবেন এবং পরবর্তীতে প্রকল্প না থাকলেও এ অভ্যাসটা চালিয়ে যাবেন। গ্রামীণ অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি হিসেবে প্রাণিসম্পদ হলো এক “জীবন্ত ব্যাংক”।আপনারা লেগে থাকলে ধান ও আম চাষের পাশাপাশি প্রাণিসম্পদ পালন করেও অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হতে পারবেন।

 


এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ