শিরোনাম
৬ লক্ষাধিক মুসল্লির অংশগ্রহণে শোলাকিয়ায় ১৯৮তম ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় শেষে মুসল্লিদের শুভেচ্ছা জানান প্রধান উপদেষ্টা। এক মাস সিয়াম সাধনার পর এলো খুশির ঈদ। রাঙ্গাবালীতে সুদমুক্ত ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।    বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানকে দাওয়াত দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। এই বছর কেউ ট্রেনের টিকিট কালোবাজারিতে জড়ানোর সাহস পায়নি : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা পোরশায় প্রতিপক্ষের হামলায় আহত জামায়াত নেতা মারা গেছেন গাবুরা ছাত্রনেতা শেখ সুমনের পক্ষে থেকে ঈদ উপহার পবিত্র ঈদুল ফিতরের অগ্রিম শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ছাত্রদলের সভাপতি হাবিবুর রশিদ সন্ধান নোয়াখালীর চারটি গ্রামে সৌদির সাথে মিল রেখে ঈদুল ফিতর উদযাপন করেছে ।
সোমবার, ৩১ মার্চ ২০২৫, ০৬:২৯ অপরাহ্ন

বাংলাদেশ ব্যাংকের সহযোগীতায় ১১ ব্যাংকের ৬টি ঘুরে দাঁড়াচ্ছে

রিপোটারের নাম / ৩২ বার পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : সোমবার, ১৭ মার্চ, ২০২৫

 

এইচটি বাংলা অর্থনীতি ডেস্ক : দুর্নীতির কারণে প্রায় ধসের মুখে থাকা ১১টি সমস্যাগ্রস্ত ব্যাংকের মধ্যে ছয়টি ইতোমধ্যে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। গত ছয় মাসে আমানত সংগ্রহ ও গ্রাহকদের আস্থা পুনরুদ্ধারের মাধ্যমে এসব ব্যাংক এ অগ্রগতি অর্জন করেছে।

 

গত বছরের আগস্টে গভর্নর আহসান এচ মনসুর দায়িত্ব গ্রহণের পর বাংলাদেশ ব্যাংক ১১টি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন করে। এরপর কেন্দ্রীয় ব্যাংক এটির তারল্য সহায়তা কর্মসূচির আওতায় ৩০ হাজার কোটি টাকা নতুন অর্থ সরবরাহ করে এ পুনরুদ্ধারের প্রক্রিয়া শুরু করে।

 

ঘুরে দাঁড়ানো ছয়টি ব্যাংক হলো—ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক (এসআইবিএল), এক্সিম ব্যাংক, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক (ইউসিবি), আইএফআইসি ব্যাংক ও আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক।

 

এসব ব্যাংকের বেশিরভাগই এখন আর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তারল্য সহায়তার ওপর নির্ভরশীল নয়। সময়োপযোগী হস্তক্ষেপ ও নিয়ন্ত্রক সংস্থার নীতি সহায়তার ফলে এগুলো তারল্য সংকট কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয়েছে।

 

তবে নতুন উদ্বেগের বিষয় হলো খেলাপি ঋণের পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়া। আগে গোপন থাকা বিপুল পরিমাণ মন্দ সম্পদ (ঋণ) এখন প্রকাশ পাচ্ছে, যা ব্যাংকগুলোর লাভজনকতায় বড় প্রভাব ফেলতে পারে।

 

খেলাপি ঋণের প্রকৃত পরিমাণ নির্ধারিত হলে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রয়োজনে প্রভিশন ফরবিয়ারেন্স সহায়তা বিবেচনা করবে।

 

সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ব্যাংকগুলোর প্রতি নির্দেশনা দিয়েছেন যে, শিল্পখাতে গড় খেলাপি ঋণের হার ৩০ শতাংশ পর্যন্ত পৌঁছালেও প্রকৃত চিত্র গোপন করা যাবে না।

 

পাঁচটি ব্যাংকের সংকট কাটানোর সম্ভাবনা কম

 

এদিকে, বাকি পাঁচটি ব্যাংক এখনো আমানতকারীদের আস্থা অর্জনে ব্যর্থ হচ্ছে এবং আমানত উত্তোলনের চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে।

 

বাংলাদেশ ব্যাংক মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে নতুন টাকা ছাপানো বন্ধ করায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিশেষ তারল্য সহায়তা কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এ পাঁচটি ব্যাংক এখনো প্রতিদিন তারল্য সহায়তার জন্য আবেদন করে যাচ্ছে।

 

এছাড়া কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অপর তারল্য সহায়তা কর্মসূচিও কার্যকারিতা হারিয়েছে, কারণ এ কর্মসূচির আওতায় ঋণ নেওয়া কিছু ব্যাংক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ঋণ পরিশোধ করতে ব্যর্থ হয়েছে।

 

গত বছরের সেপ্টেম্বরে গ্যারান্টি প্রকল্পের অধীনে সাতটি সংকটাপন্ন ব্যাংককে ২৫ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হয়েছিল, যার মধ্যে এখনো ৭ হাজার কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে।

 

ফলে গ্যারান্টি প্রকল্পের আওতায় অন্য কোনো ব্যাংক এখন এসব সমস্যাগ্রস্ত ব্যাংককে ঋণ দিতে আগ্রহী নয়। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ইতোমধ্যে এ প্রকল্প বন্ধের পরামর্শ দিয়েছে, কারণ এটি ব্যাংক খাতকে উচ্চ ঝুঁকিতে ফেলতে পারে।

 

বাংলাদেশ ব্যাংকের ওই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ পাঁচটি ব্যাংকের পুনরুদ্ধারের সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ বলে মনে করছে।

 

ঋণ কার্যক্রম স্থগিত থাকায় এসব ব্যাংকের স্বাভাবিক কার্যক্রম প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। আমানত উত্তোলন পরিচালনার জন্য এগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অর্থের ওপর নির্ভর করছে, কারণ এ ব্যাংকগুলো এখনো গ্রাহকদের আস্থা পুনরুদ্ধার করতে পারেনি।

 

সমস্যাগ্রস্ত ব্যাংকগুলোর জন্য ‘ব্যাংক রেজোলিউশন আইন’

 

এমন পরিস্থিতিতে, বাংলাদেশ ব্যাংক একীভূতকরণ ও অধিগ্রহণ সহজ করতে আগামী জুলাইয়ের মধ্যে ‘ব্যাংক রেজোলিউশন আইন’ চূড়ান্ত করার কাজ এগিয়ে নিচ্ছে।

 

‘ব্যাংক রেজোলিউশন অধ্যাদেশ’, ২০২৫-এর চূড়ান্ত খসড়া ইতোমধ্যে অনুমোদনের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।

 

এ অধ্যাদেশ বাংলাদেশ ব্যাংককে অকার্যকর ব্যাংকগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষমতা দেবে। এর আওতায় অস্থায়ী প্রশাসক নিয়োগ, নতুন বা বিদ্যমান শেয়ারহোল্ডারদের মাধ্যমে মূলধন সংগ্রহ, তৃতীয় পক্ষের কাছে শেয়ার, সম্পদ ও দায় হস্তান্তর, গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য একটি সেতু ব্যাংক প্রতিষ্ঠা এবং ব্যর্থ ব্যাংক বিক্রির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

 

সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে গভর্নর মন্তব্য করেন, ‘সব ব্যাংক টিকে থাকবে না।’

 

তিনি আরও বলেন, ‘কিছু ব্যাংকের টিকে থাকার সম্ভাবনা খুবই কম। কিছু ক্ষেত্রে, ব্যাংকের ৮৭ শতাংশ আমানত মাত্র একটি পরিবারের কাছে দেওয়া হয়েছে।’

 

এ পাঁচটি ব্যাংকের মধ্যে চারটি আগে এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণে ছিল। এসব ব্যাংকের ভবিষ্যৎ এখন অনিশ্চিত, কারণ এগুলোর ৮০ শতাংশেরও বেশি আমানত ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ এক ব্যবসায়িক গোষ্ঠীর কাছে কেন্দ্রীভূত ছিল।

 

এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলম ওরফে এস আলম বর্তমানে দেশের বাইরে অবস্থান করছেন। সমস্যাগ্রস্ত ব্যাংকগুলো পাওনা আদায়ের জন্য তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি।

 

ইসলামী ব্যাংকের আমানত সংগ্রহ ১৭ হাজার কোটি টাকা

 

এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণ সরে যাওয়ার পর দেশের বৃহত্তম বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক ইসলামী ব্যাংক আমানতকারীদের আস্থা পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে।

 

পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠনের পর ব্যাংকটি গত ছয় মাসে ১৭ হাজার কোটি টাকা নতুন আমানত সংগ্রহ করেছে।

 

গত আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে ব্যাপক আমানত উত্তোলনের চাপে পড়েছিল ব্যাংকটি, যার ফলে গ্রাহকদের চাহিদা মেটাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছ থেকে তারল্য সহায়তা নিতে হয়। তবে, বর্তমানে এ পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে, কারণ রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধির ফলে ব্যাংকটি পুনরায় স্থিতিশীল হতে শুরু করেছে।

 

গত বছরের সেপ্টেম্বরে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংকের গ্যারান্টি স্কিমের আওতায় পাঁচ হাজার কোটি টাকা তারল্য সহায়তা পায়। তবে, আমানতের ধারাবাহিক প্রবাহ বজায় থাকায় সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ব্যাংকটির আর তারল্য সহায়তার


এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ