শিরোনাম
পোরশায় ডাঃ ছালেক চৌধুরীর কতৃক গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ চট্টগ্রামে নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে ৩ শ্রমিকের মৃত্যু। মানবিক ও ভালো মানুষ না হলে দেশের উন্নতি সম্ভব না : সেনাপ্রধান সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর জাতীয় সমাবেশে মানুষের জনস্রোত। নির্বাচন নিয়ে কোন অনিশ্চয়তা নেই : প্রেস সচিব শিক্ষার্থীদের মাঝে স্কুল ড্রেস বিতরণ করেছে সৈয়দ হারুন ফাউন্ডেশন জুলাই স্মৃতি স্তম্ভ হচ্ছে রাজশাহীতে  ‘অদম্য ইচ্ছায় আশা পূরণ সামিয়ার’ এবার স্বপ্ন জয়ে সারথি হয়েছে সিআরএ জাতীয় সমাবেশ উপলক্ষে ছাতকে জামায়াতে ইসলামীর মিছিল প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তাজউদ্দিন পরিবারের সৌজন্য সাক্ষাৎ 
রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫, ০২:১২ পূর্বাহ্ন

লালমনিরহাটের পাটগ্রামে তিন সন্তানের জননীকে ওড়না পেচিয়ে হত্যা

রিপোটারের নাম / ১৮২ বার পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

এফ আই রানা , লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধি : লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলায় তিন সন্তানের জননী রেনুকা বেগমকে (৪৫) ওড়না পেচিয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (০৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে দুপুরের মধ্যে তাকে কেউ হত্যা করেছে বলে সন্দেহ করছেন রেনুকার বড় ছেলে হাসানুজ্জামান সাগর (২২)।

থানা পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার পাটগ্রাম ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাবুরকামাত এলাকার বাড়ীতে বুধবার দুপুরে খেতে আসেন রেনুকার ছেলে সাগর। এ সময় ঘরের দরজায় তালা লাগানো ও বৈদ্যুতিক বাল্ব জ্বলা এবং গৃহ পালিত ছাগলের চিৎকার শুনেন। মা-বাবা তামাক ক্ষেতে কাজ করতে গেছেন ভেবে মা-বাবাকে না ডেকে ছাগলকে ঘাস খাইতে দেন। পরে সন্দেহ হলে বাইরে থেকে বন্ধ ঘরের দরজা খুলে ভিতরে প্রবেশ করেন। এ সময় তাঁর মাকে গলায় ওড়না পেছানো ও বালিশ চাপা দেওয়া মৃত অবস্থায় দেখেন তিনি। এই সময় ট্রিপল নাইনে/ ৯৯৯ নম্বরে কল দিয়ে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ গিয়ে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট করে ময়না তদন্তের জন্য লাশ পাটগ্রাম থানায় নিয়ে যান। এদিন বিকেলে নিহত রেনুকার দ্বিতীয় স্বামী জবেদুল ইসলাম পাটগ্রাম থানায় আসেন। এ সময় পুলিশ তাকে হেফাজতে নিয়ে (এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বিকেল সাড়ে ৫ টা) জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক স্থানীয় বাসিন্দাদের ধারণা রেনুকার সাথে দ্বিতীয় স্বামী জবেদুল ইসলামের বাকবিতন্ডার জেরে তাকে গলা টিপে হত্যা করতে পারে জবেদুল।
এ ব্যাপারে রেনুকার ছেলে হাসানুজ্জামান সাগর বলেন, ‘আমি একটি বেসরকারি কোম্পানির ডেলিভারী ম্যান হিসেবে কাজ করি। গতকাল মঙ্গলবার রাতে শ্বশুর বাড়ি গিয়ে ছিলাম। সৎ বাবা জাহেদুল ইসলাম বাড়িতে ছিল। বুধবার দুপুরে খেতে এসে মাকে মৃত অবস্থায় পাওয়ার পর উনাকে এখানে দেখছিনা। তাঁর মোবাইল নম্বরে কল দিয়ে বন্ধ পাচ্ছি।

পাটগ্রাম থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুজ্জামান সরকার -রেনুকা নামে নারীর মুত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সঠিত কারণ জানতে লাশ ময়না তদন্তের জন্য উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। কাগজপত্র প্রস্তুত করে ময়না তদন্তের জন্য লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে প্রেরণের কাজ চলছে।


এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ