বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির আহবায়ক গোলাম আকবর খোন্দকার বলেছেন,শান্তির লক্ষ্যেই বিএনপির প্রতিষ্ঠা। আর লুটপাটের জন্য আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠা। বিএনপি কখনো চুরি-লুটপাটে বিশ্বাস করে না। সংবিধানের কথা বলে, তারা আরেকবার দিনের ভোট রাতে করার পাঁয়তারা করছে।
তিনি বলেন,আওয়ামীলীগ লুটপাট করে দেশের অর্থনীতিকে তলানিতে নিয়ে গেছে। রাষ্ট্রের প্রতিটি সেক্টরে মেগা প্রজেক্টের নামে মেগা দূর্নীতি করেছে। আওয়ামী লীগের লুটপাট দূর্নীতির কারণে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ভেঙে পড়েছে। দেশের মানুষের জীবন অতিষ্ট হয়ে উঠেছে। এই দূর্ভিক্ষ মোকাবেলা না করে আওয়ামী লীগ লুটপাট আর অবৈধ ক্ষমতার মসনদ টিকিয়ে রাখার জন্য বিএনপিকে দমানোর কাজে ব্যস্ত হয়ে আছে।
তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই নির্বাচন দিতে হবে। বাংলাদেশের গণতন্ত্র মুক্ত করতে হবে। এ দেশের মানুষকে কথা বলতে দিতে হবে। ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে। সেখানে যে জিতবে সেই ক্ষমতায় যাবে। বিএনপি ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য সেই নির্বাচন করবে না।
প্রদান বক্তা বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ব্যারিষ্টার মীর হেলাল বলেন, জনগণ আর এই সরকারকে চায়না। সরকার তাদের সময় জেনে এখন জোরপূর্বক ক্ষমতায় থাকার জন্য মরিয়া উঠেছে। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে মানুষের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সহ গ্যাস বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে চলেছে। সরকারের ব্যর্থতা, লুটপাট, অব্যবস্থাপনা কারণে এমনিতেই জনগণ চরম দুর্ভোগে রয়েছে। এরমধ্যে দফায় দফায় সব পণ্যের দাম বাড়ানোয় মানুষের জীবনযাত্রার ওপর চাপ পড়ছে। দুর্নীতির ব্যয় মেটাতে জনগণের পকেট থেকে টাকা কেটে নিচ্ছে সরকার। সরকারের দুর্নীতির মাশুল দিতে হচ্ছে জনগণকে। যতই নিপিড়ন, নির্যাতন, আটক, মামলা, হামলা ও গুলি চলুক বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীরা আর পিছু হটবেনা।
আজ সোমবার (১৭ এপ্রিল) বিকেলে নাসিমন ভবন দলীয় কার্যালয়ে জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা(জাসাস)চট্টগ্রাম উত্তর জেলার ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
চট্টগ্রাম উত্তর জেলা জাসাসের সভাপতি কাজী মোঃ সাইফুল ইসলাম টুটুলের সভাপতিত্বে, সাধারন সম্পাদক আশ্রাফ উল্লাহর সঞ্চালনায় এক ইফতার ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির আহবায়ক ও দলীয় চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা জননেতা গোলাম আকবর খোন্দকার, প্রধান বক্তা হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও মিডিয়া সেল সদস্য জননেতা ব্যারিষ্টার মীর মোঃ হেলাল উদ্দীন, বিশেষ অতিথি চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক অধ্যাপক ইউনুচ চৌধুরী, ফটিকছড়ি উপজেলা বিএনপির আহবায়ক
কর্ণেল আজিম উল্লাহ বাহার (অবঃ), জাসাস চট্টগ্রাম বিভাগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নিয়াজ মো: খাঁন, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য সেলিম চেয়ারম্যান, ডা: রফিকুল আলম, জাসাস কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগর সদস্য সচিব মামুনুর রশীদ শিপন, চট্টগ্রাম দক্ষিন জেলা জাসাস সদস্য সচিব নাছির উদ্দীন সিকদার, চট্টগ্রাম দক্ষিন জেলা মহিলা দল সভাপতি নাঈমা ফৈরদৌস রিকু,
চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবদল সিনিয়র যুগ্ম সাধারন সম্পাদক এইচ এম নুরুল হুদা, আরো বক্তব্য রাখেন
সালেহা বেগম রিনা, চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের সদস্য সচিব শরিফুল ইসলাম তুহিন, আইয়ুব খান চৌধুরী, মির্জা মেশকাত হোসেন, মো: রাসেদ,সাংগঠনিক সম্পাদক মো: জসিম উদ্দীন, মাষ্টার আকবর হোসেন, আমির হোসেন, নিজাম উদ্দীন নিহাদ, আমিনুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম,মাসুম বিল্লাহ,খোরশেদ আলম, রাশেদুল ইসলাম, মাহফুজুর রহমান জাফর, মো: জামাল আল দ্বীন , ইয়াছিন উদ্দীন, কেফায়েত উল্লাহ, গাজী মো: হানিফ, মাহফুজ,নুরুল আমিন আজাদ, হাসান চৌধুরী দিপু, শাহাদাত হোসেন,আকবর হোসেন, আমির রায়হান, হামিদ উল্লাহ সহ প্রমুখ।