শিরোনাম
কমলগঞ্জ-আদমপুর সড়ক উন্নয়ন কাজের টেন্ডার পাশ: এনসিপির উদ্যোগে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত বগুড়া সরকারী শাহ সুলতান কলেজ ছাত্রদলের সদস্য সচিব হলেন শাজাহানপুরের সোহাগ ডা. জোবাইদা রহমান লন্ডনের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছেড়েছেন।  শুকুন্দী ইউনিয়নে ইমাম-ওলামা ও ত্বলাবা পরিষদের উদ্যোগে ঈদ উপহার বিতরণ চুনারুঘাটের চান্দপুর চা বাগানে সিএনজি চালককে পিটিয়ে হত্যা। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জোড়া খুনের প্রধান আসামি গ্রেফতার – কমলগঞ্জ থানা পুলিশের সাফল্য রাজশাহীতে প্রতারণা করে ফ্ল্যাট কেনার অভিযোগ আইওয়াইসিএম চট্টগ্রাম চ্যাপ্টার’র পরিবেশ সুরক্ষায় বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ক সচেতনতা ক্যাম্পেইন শুরু দেশের জার্সিতে প্রথম গোল পেলেন হামজা চৌধুরী। পোরশায় মোটরসাইকেল দূর্ঘটনায় অধ্যক্ষ ফিরোজ আহম্মেদের মৃত্যু
শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫, ০৯:১৯ পূর্বাহ্ন

 

১৪ ঘণ্টা পর খালে পড়া সেই শিশুর মরদেহ উদ্ধার।

রিপোটারের নাম / ৬৪ বার পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫

 

 

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি: নিজের বাড়ির সামনেই মিলল খালে পড়া সেই শিশুর মরদেহ চট্টগ্রাম নগরীর চকবাজারে খালে পড়ে নিখোঁজ ছয় মাস বয়সি শিশু সেহরিসের মরদেহ ১৪ ঘণ্টা পর উদ্ধার করা হয়েছে।

শনিবার (১৯ এপ্রিল) সকাল ১০টায় দুর্ঘটনার স্থান থেকে ৮ থেকে ৯ কিলোমিটার দূরে নিজ বাড়ির কাছাকাছি জায়গা চাক্তাই খাল থেকে শিশুটির নিথর দেহ উদ্ধার করা হয়।

ফায়ার সার্ভিস, নৌবাহিনী, আনসার ও পুলিশ সদস্যদের টানা অভিযানের পর সকালে চাকতাই খালে ভেসে থাকা অবস্থায় শিশুটির মরদেহ দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে সেটি উদ্ধার করে তার নিজ বাড়িতে আনা হয়।

এর আগে শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে নবাব হোটেল সংলগ্ন এলাকায় শিশুটির মা ও দাদির সঙ্গে বাড়ি যাওয়ার সময় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাসহ হিজলা খালে পড়ে যায়। স্থানীয়রা রিকশাচালককে তাৎক্ষণিক উদ্ধার করলেও শিশুটির মা ও দাদিকে পানির প্রবল স্রোত ভাসিয়ে নিয়ে যায়। পরে ব্রিজের নিচে পাইপে আটকে পড়া অবস্থায় সিটি করপোরেশনের কর্মীদের সহায়তায় তাদের জীবিত উদ্ধার করলেও নিখোঁজ শিশুটি। রাতভর উদ্ধার অভিযান চালিয়েও তার সন্ধান মেলেনি।

ঘটনার পর চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন, ফায়ার সার্ভিস ও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন এবং উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে যেতে নির্দেশ দেন।

চট্টগ্রামে নালা ও খালের অরক্ষিত অবস্থা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। গত চার বছরে এমন দুর্ঘটনায় অন্তত সাতজন প্রাণ হারিয়েছেন, যার মধ্যে বেশ কয়েকজনই শিশু।

সেহরিশের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘প্রতিবারই এমন দুর্ঘটনার পর কিছুদিন আলোচনায় আসে, কিন্তু স্থায়ী কোনো সমাধান হয় না। প্রশাসন ও সিটি করপোরেশনের উচিত দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া।’

শিশুটির পরিবারসহ এলাকাবাসীর দাবি, খাল ও ড্রেনগুলোতে নিরাপত্তা ব্যারিকেড ও কভার বসানো হোক, যেন এমন মর্মান্তিক ঘটনা আর না ঘটে।


এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ