শিরোনাম
রাজশাহীর তানোরে গভীর নলকূপের পরিত্যক্ত গর্তে আটকে থাকা শিশু সাজিদকে উদ্ধারের  কাজ এখনো চলছে। পাটগ্রামে রাস্তার মাঝে গাছ রেখেই  পিচ ঢালাই ও কার্পেটিং , দুর্ঘটনার আশঙ্কা । সেচ্ছাসেবীদের নিয়ে মোস্তফা হাকিম ব্লাড ব্যাংকের হেল্থ চেক-আপ ট্রেনিং ২০২৫ অনুষ্ঠিত। থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার সীমান্তে উত্তেজনা আবারও চরমে উঠেছে। আগামীকাল বেগম খালেদা জিয়াকে নিতে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স আসবে। প্রেসিডেন্ট অ্যাওয়ার্ডে উজ্জ্বল ছাতকের কন্যা উম্মে ফাতেমা স্পিহা-জাতীয় মঞ্চে ছনখাইড় কন্যার অনন্য সাফল্য কওমী মাদ্রাসার স্বীকৃত ডিগ্রিধারীরা নিকাহ রেজিস্ট্রার (কাজী) হতে পারবেন কালিহাতীতে শিয়ালের আকস্মিক হামলায় বৃদ্ধা গুরুতর আহত, আতঙ্কে এলাকাবাসী কর্মসূচি স্থগিত করে  পরীক্ষায় ফিরছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা বিমান ভ্রমণে এই মুহূর্তে সক্ষম নন বেগম খালেদা জিয়া
বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০১:৫১ অপরাহ্ন

রাজশাহীর তানোরে গভীর নলকূপের পরিত্যক্ত গর্তে আটকে থাকা শিশু সাজিদকে উদ্ধারের  কাজ এখনো চলছে।

রিপোটারের নাম / ৭ বার পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০২৫

এইচটি বাংলা ডেস্ক : রাজশাহীর তানোরে গভীর নলকূপের পরিত্যক্ত গর্তে (বোরিং) আটকে থাকা শিশু সাজিদকে উদ্ধারে এখনো কাজ করছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। ইতিমধ্যে তিনটি এক্সকাভেটর দিয়ে পাশে ৪০ ফুট গভীর একটি গর্ত করে প্রাথমিক কাজ শেষ করা হয়েছে। এখন মূল গর্ত পর্যন্ত পৌঁছাতে উদ্ধার অভিযান শুরু করেছে ফায়ার সার্ভিস।

বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় এ প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত শিশুটিকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

ফায়ার সার্ভিসের রাজশাহী বিভাগের সহকারী পরিচালক দিদারুল আলম এসব তথ্য জানিয়েছেন। বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাজশাহীর তানোরে দুই বছর বয়সী শিশু সাজিদ গভীর গর্তে পড়ে যায়।

শিশু সাজিদ তার মায়ের হাত ধরে কেটে নেওয়া ধানের ক্ষেতে হাঁটছিল। হঠাৎ গর্তে পড়ে যায় শিশুটি।

সে উপজেলার কোয়েলহাট পূর্বপাড়া গ্রামের রাকিবের ছেলে। রাকিব ঢাকায় একটি জুট মিলে ব্যবস্থাপক হিসেবে চাকরি করেন।

পুকুরপাড়ে গভীর নলকূপের জন্য মাটিতে খুঁড়ে রাখা ৩০-৩৫ ফুট গর্তে সাজিদ হঠাৎ তলিয়ে যাওয়ার পর পুরো উপজেলাজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে উৎকণ্ঠা। শুরুতে শিশুটির সাড়া পাওয়া গেলেও ধীরে ধীরে সেই সাড়া মিলিয়ে যেতে থাকে।

বেলা ৪টা থেকে উদ্ধার অভিযান শুরুর খবর ছড়িয়ে পড়লে হাজার হাজার মানুষ ঘটনাস্থলে ভিড় করতে থাকে। এতে উদ্ধার কাজে ব্যবহৃত এক্সকেভেটর দিয়ে মাটিকাটা ও তা সরিয়ে নিতে প্রশাসনকে বেশ বেগ পেতে হয়। ঘটনাস্থলে প্রস্তুত রাখা হয় অ্যাম্বুলেন্স ও জীবন রক্ষাকারী সরঞ্জাম।

স্থানীয়রা জানায়, রাজশাহীর তানোর উপজেলার পাঁচন্দর ইউনিয়নের এই গ্রামে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর অনেক নিচে নেমে গেছে। এলাকাটিতে বর্তমানে গভীর নলকূপ বসানোর বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।

এমন পরিস্থিতিতে কোয়েলহাট গ্রামের তাহের নামের এক ব্যক্তি তার জমিতে পানির স্তর পাওয়া যায় কিনা-তা যাচাই করতে গর্তটি খনন করেছিলেন। পরে তিনি গর্তটি ভরাটও করেন এবং পরে বর্ষায় মাটি বসে গিয়ে সেখানে নতুন করে গর্ত সৃষ্টি হয় বলে দাবি করা হয়। সেই গর্তেই শিশুটি পড়ে যায়। শিশুটিকে উদ্ধারে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের মোট তিনটি ইউনিট।

ফায়ার সার্ভিসের রাজশাহী বিভাগের সহকারী পরিচালক দিদারুল আলম বলেন, আমাদের ফায়ার ব্রিগেডের টিম অনুসন্ধান করছে। কিছুক্ষণের মধ্যেই আমরা নিশ্চিত হবো ৪০ ফুটের মধ্যে পাচ্ছি কি না। যদি না পাই, এবং ভিকটিম যদি আরো গভীরে চলে যায়, তবে বিকল্প পদ্ধতিতে চেষ্টা করব। সেই পদ্ধতিতে ভিকটিমকে জীবিত পাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না।

সহকারী পরিচালক আরো বলেন, ভিকটিম আটকা পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তার চার ফুট দূরত্বে আমরা টানেল করেছি। সেখানে ভিকটিম আছে কি না, আমরা এখনো পুরোপুরি নিশ্চিত নই, অনুসন্ধান চলছে।

তিনি বলেন, গতকালও আমরা সাড়া পাইনি, আজও পাইনি। ৩০ থেকে ৩৫ ফুটের মধ্যে পাওয়া না গেলে, স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ও শিশুর স্বজনরা অনুমতি দিলে মাটির গভীরে লোহার যন্ত্র ব্যবহার করে দেখতে পারি।

 


এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ