সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র ও পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) দুপুর ১২টায় বাংলাদেশ যুব ঐক্য পরিষদ ও ছাত্র ঐক্য পরিষদ জেলা শাখার আয়োজনে সাতক্ষীরা প্রেস ক্লাবের সামনে ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে যুব ঐক্য পরিষদ সাতক্ষীরার সভাপতি অমিত ঘোষ বাপ্পার সভাপতিতে বক্তব্য দেন- হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সদর উপজেলার সভাপতি প্রভাষক বাসুদেব সিংহ, সাধারণ সম্পাদক উত্তম পাল, সাংগঠনিক সম্পাদক মিলন রায় প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, চিন্ময় কৃষ্ণ ব্রহ্মচারীকে ডিবি পুলিশ আটক করেছে। দ্রুত আমাদের নেতাকে মুক্তি না দিলে আগামীতে কেন্দ্রীয় নির্দেশ মোতাবেক আমাদের কর্মসূচি পালন করব। মানববন্ধন শেষে চিন্ময় কৃষ্ণ ব্রহ্মচারীকে মুক্তির দাবিতে একটি বিক্ষোভ মিছিল করে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে সাতক্ষীরা প্রেস ক্লাবের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
এর আগে সোমবার বিকেলে ঢাকা থেকে বিমানে চট্টগ্রাম যাওয়ার কথা ছিল চিন্ময়ের। সে সময় ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। তার গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার রেজাউল করিম মল্লিক। তিনি বলেন, পুলিশের একটি অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে ডিবি গ্রেপ্তার করেছে। যারা আবেদন করেছে, তাদের কাছে তাকে হস্তান্তর করা হবে।
উল্লেখ্য, গত ৩০ অক্টোবর চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়। মো. ফিরোজ খান নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালি থানায় মামলাটি করেন। জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে রাষ্ট্রদ্রোহ আইনে এ মামলা দায়ের হয়। মামলার পরই দুজনকে গ্রেপ্তার করেছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তারা হলেন- রাজেশ চৌধুরী ও হৃদয় দাশ।
মামলার আসামিরা হলেন- পুণ্ডরীক ধাম মন্দিরের অধ্যক্ষ চন্দন কুমার ধর প্রকাশ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী, চট্টগ্রামের হিন্দু জাগরণ মঞ্চের সমন্বয়ক অজয় দত্ত (৩৪), নগরীর প্রবর্তক ইসকন মন্দিরের অধ্যক্ষ লীলা রাজ দাশ ব্রহ্মচারী (৪৮), গোপাল দাশ টিপু (৩৮), ডা. কথক দাশ (৪০), প্রকৌশলী অমিত ধর (৩৮), রনি দাশ (৩৮), রাজীব দাশ (৩২), কৃষ্ণ কুমার দত্ত (৫২), জিকু চৌধুরী (৪০), নিউটন দে ববি (৩৮), তুষার চক্রবর্তী রাজীব (২৮), মিথুন দে (৩৫), রুপন ধর (৩৫), রিমন দত্ত (২৮), সুকান্ত দাশ (২৮), বিশ্বজিৎ গুপ্ত (৪২), রাজেশ চৌধুরী (২৮) এবং হৃদয় দাস (২৫)। একই মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ১৫ থেকে ২০ জনকে আসামি করা হয়েছে।