সাতক্ষীরা প্রতিনিধিঃ জাল জালিয়াতি কাবিননামায় স্বাক্ষী থাকা ও তাহা ব্যবহারের সহযোগিতা করার অপরাধে তালার উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহবায়ক ও ইউপি সদস্য মোঃ ইয়াছিন সরদার সহ ৫ জন শ্রীঘরে দিয়েছেন আদালত।
রবিবার ১৫ জুন সাতক্ষীরা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী ৩ নং আদালতের বিচারক মাসুমা আক্তার এর আদালতে ৪৬৫/৪৬৭/৪৬৮ ধারার সিআর – ৪০৭/২৪(তালা) নং মামলায় স্বেচ্ছায় হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে বিজ্ঞ আদালত শুনানি অন্তে আসামি দের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে সি ডব্লিউ মূলে সকল আসামি দের জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ প্রদান করেন।
আসামি ইউপি সদস্য মোঃ ইয়াছিন সরদার উপজেলার মুড়াকলিয়া গ্রামের মোঃ আব্দুল গফুর সরদারের ছেলে ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহবায়ক। মামলার অপর আসামিরা হলেন, একই গ্রামের মৃত সামসুর সরদারের ছেলে মোঃ মোজাহার সরদার, আহম্মদ আলী সরদারের ছেলে মোঃ রেজাউল সরদার ও মোঃ আব্দুল কুদ্দুস সরদার এবং মেয়ে লাভলী খাতুন।
মামলার বাদি যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলার জাহানপুর গ্রামের ছলিমুদ্দিন সরদারের ছেলে মোঃ আক্তারুল ইসলাম। মামলায় আসামি পক্ষে বিজ্ঞ আদালতে জামিনের শুনানি করেন বিজ্ঞ আইনজীবী এ্যাড, বাসালাতুল্লাহ আরঙ্গী বাবলা। বাদি পক্ষে জামিনের বিরোধিতা করেন বিজ্ঞ আইনজীবী এ্যাড,এম হায়দার আলী ও মোঃ জুলফিকার আলী শেখ।
মামলার আরজি সূত্রে জানা গেছে মামলার বাদীর সাথে ২৫ শে মার্চ ২০০৫ তারিখে ২৫ হাজার টাকা দেনমোহর নির্ধারণ করে ইসলামী শরিয়াহ মোতাবেক আসামী লাভলী খাতুন বিবাহ হয়। বিবাহের পর তাঁদের সংসারে একটি কন্যা ও একটি পুত্র সন্তান জন্ম গ্রহণ করেন। এভাবে চলাকালে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে মান অভিমান হলেই লাভলী আক্তার সাতক্ষীরা বিজ্ঞ আদালতে একাধিক মামলা করেন বাদির নামে। সর্বশেষ উভয়ের দাম্পত্য সম্পর্ক বিদ্যমান থাকা কালীন গত ইং ২৫-০৩-২০১৮ তারিখে রেজিঃকৃত ৩ লক্ষ টাকা দেনমোহর ধার্যে একটি নিকাহ নামার বরাত দিয়ে ২৯-০২ ২৪ তারিখে বিজ্ঞ আদালতে একটি যৌতুক নিরোধ আইনের ৩ ধারায় অপর একটি মামলা দায়ের করেন। উক্ত ২৫-০৩-১৮ তারিখের রেজিঃ কাবিন নামা জালিয়াতি মর্মে তাহা চ্যালেঞ্জ করে মামলার বাদী আক্তারুল ইসলাম বিজ্ঞ আমলী ৩ নং আদালত সাতক্ষীরায় গত ইং ১৯-১২-২৪ তারিখে সি আর -৪০৭/২৪ নং মামলা দায়ের করেন। মামলা দাখিলের পর বিজ্ঞ আদালত মামলাটি নিরপেক্ষ তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পিবিআই সাতক্ষীরা বরাবর নির্দেশ প্রদান করেন। তদন্ত প্রতিবেদনের আর্জিতে বর্ণিত ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হয়েছে মর্মে আসামিদের প্রতি সমন জারির আদেশ প্রদান করেন। উল্লেখিত কাবিননামা জাল জালিয়াতি করা এবং উহা ব্যবহার করা, জালিয়াতি কাবিন নামাই সাক্ষী থাকার অপরাধে বিজ্ঞ আদালত আসামিদেরকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানা গেছে।