শিরোনাম
বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া  বিলিয়ন ডলার উদ্ধারে কানাডার সহযোগিতা চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা লালমনিরহাটে মৃত গরুর মাংস বিক্রি -ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান সঠিক কাঠামো অনুসরণ করা গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য অত্যন্ত জরুরি : চুয়েট ভিসি যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় অভিবাসীদের ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বিপিএলে ফিক্সিং নিয়ে তদন্তের কাজ করছে বিসিবি । চাঁপাইনবাবগঞ্জে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের গঙ্গাস্নান অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ব্যাংকে সকল কর্মকর্তাদের সব লকার ফ্রিজ করা হয়েছে।  গ্র্যান্ড ইভেন্ট ‘জিপিএইচ মহারাজ দরবার’ অনুষ্ঠিত নিকোর জন্য ম্যানসিটিকে গুনতে হচ্ছে ৬০ মিলিয়ন ইউরো। জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় গেলে জনগনের টাকা চুরি করবে না : জামায়াতের আমির
বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১২:৫৩ অপরাহ্ন

চিত্রনায়িকা পরীমনির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি।

রিপোটারের নাম / ১৯ বার পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : রবিবার, ২৬ জানুয়ারি, ২০২৫

 

এইচটি বাংলা বিনোদন ডেস্ক : মারধর, ভাঙচুর ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগে ব্যবসায়ী নাছির উদ্দিন মাহমুদের দায়ের করা মামলায় চিত্রনায়িকা পরীমনির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেছেন আদালত। এর মধ্য দিয়ে এ মামলায় তার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হয়েছে।

 

এ ছাড়া আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় পরিমণির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

 

রোববার (২৬ জানুয়ারি) শুনানি শেষে ঢাকার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তার সময় আবেদন নামঞ্জুর করে এ আদেশ দেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত সুরভি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

 

 

গত এপ্রিলে ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এম সাইফুল ইসলামের আদালতে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন বাদীক্ষের আইনজীবী আবুল কালাম মোহাম্মদ সোহেল।

 

 

সেসময় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই ঢাকা জেলার পরিদর্শক মো. মনির হোসেন ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। প্রতিবেদনে আসামি পরীমণি ও তার কস্টিউম ডিজাইনার জুনায়েদ বোগদাদী জিমি ওরফে জিমের বিরুদ্ধে বাদীকে মারধর ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে বলে উল্লেখ করা হয়।

 

 

 

ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ বাদী হয়ে ২০২১ সালের ৬ জুলাই ঢাকার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাজীব হাসানের আদালতে পরীমণিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন। এ মামলার অন্য দুই আসামি হলেন- পরীমণির সহযোগী ফাতেমা তুজ জান্নাত বনি ও জুনায়েদ বোগদাদী জিমি ওরফে জিম।

 

 

মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, পরীমণি ও তার সহযোগীরা অ্যালকোহল সেবনে অভ্যস্ত। তারা সুযোগ বুঝে বিভিন্ন নামীদামি ক্লাবে ঢুকে অ্যালকোহল পান করেন এবং পার্সেল নিয়ে মূল্য পরিশোধ করেন না। পরীমণি তার পরিচিত পুলিশ কর্মকর্তাদের দিয়ে মিথ্যা মামলা করিয়ে হয়রানির ভয় দেখান। ২০২১ সালের ৯ জুন রাত ১২টার পর আসামিরা সাভারের বোটক্লাবে ঢোকেন এবং দ্বিতীয় তলার ওয়াশরুম ব্যবহার করেন। পরে তারা ক্লাবের ভেতরে বসে অ্যালকোহল পান করেন।

 

 

এতে আরও বলা হয়, বাদী (নাসির উদ্দিন মাহমুদ) ও তার সহযোগী শাহ শহিদুল আলম রাত ১টা ১৫ মিনিটে যখন ক্লাব ত্যাগ করছিলেন, তখন পরীমণি উদ্দেশ্যমূলকভাবে নাসিরকে ডাক দেন। তাদের সঙ্গে কিছু সময় বসারও অনুরোধ করেন। এক পর্যায়ে পরীমণি অশ্লীল অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে নাসিরকে আকৃষ্ট করার চেষ্টা করেন এবং একটি ব্লু লেবেল অ্যালকোহলের বোতল বিনামূল্যে পার্সেল দেয়ার জন্য চাপ দেন। নাসির উদ্দিন এতে রাজি না হওয়ায় পরীমণি তাকে গালমন্দ করেন। নাসির এবং আসামিদের মধ্যে বাদানুবাদের এক পর্যায়ে পরীমণি বাদীর দিকে একটি সারভিং গ্লাস ছুড়ে মারেন এবং হাতে থাকা মোবাইল ফোনও ছুড়ে মারেন। এতে নাসির মাথায় এবং বুকে আঘাতপ্রাপ্ত হন।

 

মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়, পরীমণি ও তার সহযোগীরা তাকে (নাসির উদ্দিনকে) মারধর ও হত্যার হুমকি দিয়েছেন ও বোটক্লাবে ভাঙচুর করেছেন। এ ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার জন্য পরীমণি সাভার থানায় বাদী নাসির উদ্দিনসহ দুজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ তুলে মামলা করেন।

 

এর আগে ২০২১ সালের ১৪ জুন ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন পরীমণি। এদের মধ্যে ছিলেন বোট ক্লাবের তৎকালীন সভাপতি নাসির ইউ মাহমুদ, তুহিন সিদ্দিকী অমি ও অজ্ঞাত পরিচয়ের আরও ৪ জন। তদন্তের পর ধর্ষণ বা হত্যাচেষ্টার কোনো প্রমাণ পায়নি পুলিশ।


এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ