শিরোনাম
পাটগ্রামে সাংবাদিকদের সাথে জামায়াতে ইসলামীর মতবিনিময়, আনোয়ারুল ইসলাম রাজু’র অংশগ্রহণ সাতক্ষীরা–১ আসনে নির্বাচনী উত্তাপ: মাঠে সক্রিয় জামায়াত প্রার্থী অধ্যক্ষ মুহাম্মদ ইজ্জত উল্লাহ পোরশায় মাসিক সমন্বয় সভা এবং বুদ্ধিজীবি ও বিজয় দিবস উদযাপনের লক্ষ্যে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত।  চট্টগ্রামের কালুরঘাট এলাকায় পোশাক কারখানার গুদামে আগুন নিয়ন্ত্রণে ছুটে যায় ফায়ার সার্ভিস ও চট্টগ্রাম সিটি যুব রেড ক্রিসেন্ট ইউনিট। সড়ক দুর্ঘটনায় পা হারানো আজিজুলকে হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা অব্যাহত রাখার দাবি পরিবারের লালমনিরহাটে প্রেসফোর নির্বাচনে: সভাপতি সুমন, সম্পাদক দুলাল নির্বাচিত” ছাতকে সাংবাদিকদের দোয়া-মিলাদ মাহমুদ আলমের মায়ের রুহের মাগফিরাত কামনায় দাঁড়িপাল্লার বিজয় নিশ্চিত করতে ছৈলা আফজলাবাদে জামায়াতে ইসলামী’র ওয়ার্ড সমাবেশ মনোহরদী-বেলাব আসনে জামায়াতের প্রার্থী মাওলানা জাহাঙ্গীর আলমের নির্বাচনী ব্যানার ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ!  পরিচ্ছন্নতায় সংকট, সেবায় প্রশ্ন ছাতক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স আলোচনায়
শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৬:০৫ অপরাহ্ন

জিআই তালিকায় টাঙ্গাইলের আরেক গর্ব — ‘জামুর্কীর সন্দেশ’

রিপোটারের নাম / ১৯৩ বার পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : শনিবার, ৩ মে, ২০২৫

 

গৌরাঙ্গ বিশ্বাস, বিশেষ প্রতিনিধি : টাঙ্গাইলের মিষ্টি নিয়ে কথা উঠলে সবার আগে আসে ‘চমচম’-এর নাম। তবে এবার সেই তালিকায় যোগ হলো আরেক ঐতিহ্যবাহী স্বাদ—মির্জাপুরের জামুর্কীর সন্দেশ। এটি এখন শুধু মিষ্টি নয়, ভৌগোলিক নির্দেশক (GI) পণ্য হিসেবে স্বীকৃত।

ঐতিহ্য থেকে স্বীকৃতির পথচলাঃ

জানা গেছে, জামুর্কীর সন্দেশের সূচনা ব্রিটিশ আমলে, মদন মোহন সাহার হাত ধরে। পরে তাঁর পুত্র কালীদাস সাহা দুধ, চিনি, মসলা ও পাটালিগুড় দিয়ে তৈরি করেন নতুন স্বাদের সন্দেশ—যা আজও বহন করছে প্রজন্মের গৌরব। সময়ের পরিক্রমায় এই মিষ্টান্ন পরিণত হয়েছে একটি সাংস্কৃতিক সম্পদে।

জিআই সনদের প্রাপ্তি ও গর্বের মুহূর্তঃ

২০২৪ সালের ১ এপ্রিল জামুর্কীর সন্দেশের জন্য আবেদন করে জেলা প্রশাসন। দীর্ঘ এক বছরের অপেক্ষার পর অবশেষে সেই স্বীকৃতি এসেছে। গত বুধবার বিশ্ব মেধাসম্পদ দিবস উপলক্ষে ঢাকার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে শিল্প ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খানের হাত থেকে সনদ গ্রহণ করেন জেলা প্রশাসক শরীফা হক।
লোকগাথা নয়, বাস্তব বাজারও চাঙাঃ

প্রতিদিন জামুর্কী বাজারে কয়েক হাজার কেজি সন্দেশ বিক্রি হয়। দোকান রয়েছে মাত্র কয়েকটি, কিন্তু চাহিদা সারাদেশে। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায়। ব্যবসায়ী সমর সাহা বলেন, “জিনিসপত্রের দাম বাড়লেও স্বাদে কিন্তু একচুলও ছাড় দিই না। এখন তো দেশের বাইরেও মানুষ খোঁজ করেন আমাদের সন্দেশ।”

সরকারি কর্মকর্তাদের উচ্ছ্বাসঃ

জেলা প্রশাসক শরীফা হক বলেন, “টাঙ্গাইলের তাঁত, চমচম, আনারসের মতো জামুর্কীর সন্দেশও দেশের গর্ব। এই স্বীকৃতি আমাদের ঐতিহ্য রক্ষার পথে এক বড় মাইলফলক।”
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম আরিফুল ইসলাম জানান, “যারা সন্দেশ তৈরি করেন, সরকার তাঁদের প্রাপ্য সম্মান দিতে পেরেছে—এটাই আমাদের সার্থকতা।”


এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ