মানবপাচারকারী চক্রের ফাঁদে পা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে ইতালির বাংলাদেশ দূতাবাস। ইতালি যাওয়ার পথে অতিরিক্ত ঠান্ডায় জমে গিয়ে হাইপোথার্মিয়ায় সাত বাংলাদেশি নাগরিকের মৃত্যুর পর এ আহ্বান জানানো হয়।
রোমের বাংলাদেশ দূতাবাস জানায়, ইতালীয় সূত্রের প্রাথমিক তথ্য বলছে—অভিবাসনপ্রত্যাশী ২৮৭ জনের মধ্যে ২৭৩ জন ছিলেন বাংলাদেশি। তাঁদের মধ্যে সাত জন মারা গেছেন। এ ছাড়া বাকিরা মিসরীয় নাগরিক।
এ দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেছে দূতাবাস। এ ছাড়া পরবর্তী যথোপযুক্ত কার্যক্রমের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ রক্ষা করে চলছে দূতাবাস।
দেশটির সিসিলি প্রদেশের এগ্রিজেন্তো এলাকায় অবস্থিত মর্গে সাতটি লাশ ফেরত পাঠানো বা দাফনের পূর্ব পর্যন্ত রাখা হবে বলে জানা গেছে।
দূতাবাস জানায়, লাশ বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে সংশ্লিষ্ট প্রক্রিয়াগত বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা চলমান রয়েছে।
লাশ পরিদর্শনের জন্য আদালতের অনুমতির বাধ্যবাধকতা থাকায় এখনও সরেজমিনে লাশ দেখা সম্ভব হয়নি। তবে, প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
দুর্ঘটনাস্থল থেকে জীবিত উদ্ধার করা ব্যক্তিদের বিভিন্ন স্থানে স্থানান্তর করা হয়েছে এবং দূতাবাসের প্রতিনিধিদল তাঁদের সঙ্গে কথা বলেছে।
এর আগে গত ২৫ জানুয়ারি কাঠের নৌকায় করে ইতালি যাওয়ার পথ দীর্ঘক্ষণ তীব্র ঠাণ্ডায় থাকার ফলে হাইপোথার্মিয়াজনিত কারণে সাত বাংলাদেশি নাগরিক মারা যায়।
এ ঘটনা জানার পর থেকে ইতালির বাংলাদেশ দূতাবাস সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ রক্ষা করে চলছে। ইতালির কাতানিয়া ও পালেরমোতে নিযুক্ত বাংলাদেশের অনারারি কনসালদের মাধ্যমেও বাংলাদেশ দূতাবাস প্রকৃত তথ্য অনুসন্ধান এবং যথোপযুক্ত করণীয় নির্ধারণের মাধ্যমে সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
দূতাবাসের কাউন্সেলর (শ্রম কল্যাণ) মো. এরফানুল হকের নেতৃত্বে ও দূতাবাসের একজন ইতালি-ভাষী কর্মচারীসহ দুই সদস্য বিশিষ্ট একটি দল দুর্ঘটনার পরদিনই লাম্পেডুসা দ্বীপে যান এবং সেখানকার ডেপুটি মেয়রের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।