জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যার নেপথ্যের কুশীলবদের আইডেন্টিফাই (শনাক্ত) করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।

তিনি বলেছেন, এটা সম্পূর্ণভাবে নির্বাহী বিভাগের সিদ্ধান্ত। সেটা উনারা সিদ্ধান্ত নেবেন। এটা হওয়া উচিত বলে আমরা মনে করি। এর পেছনে যে কুশীলবরা ছিল তাদের আইডেন্টিফাই করা উচিত, যাতে করে কিছু না হলেও জাতি তাদের ঘৃণা করতে পারে।

মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট ইনার গার্ডেনে স্মৃতি চিরঞ্জীব সৌধে শ্রদ্ধা জানানোর পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব করা বলেন তিনি।

প্রধান বিচারপতি বলেন, আমরা বঙ্গবন্ধুকে ফিরে পাব না। কিন্তু তিনি যে আদর্শ রেখে গেছেন, আমরা এ আদর্শ বাস্তবায়ন করে তিনি যে উদ্দেশ্যে দেশটাকে স্বাধীন করেছেন আমরা সে স্বাধীনতার লক্ষ্য বাস্তবায়িত করব।

পরে সুপ্রিম কোর্ট অডিটোরিয়ামে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভা, দোয়া ও স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্ব নিয়ে যারা প্রশ্ন করেন, তাদের বলতে চাই- তার নেতৃত্বের গুণাবলির মধ্যে ঘাটতি কতটা ছিল? যদি ঘাটতি না থেকে থাকে তাহলে দেশের সংবিধান মেনে নিয়ে, একাত্তরকে স্বীকার করে নিয়ে তারপর বাংলাদেশে রাজনীতি করি। আমি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করবো আর সহনশীল হবো না, এটা গণতন্ত্রের চর্চা বলা যাবে না।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয় এই জাতিকে ধ্বংস করে দেওয়ার জন্য। ঠিক সেই হিসাব-নিকাশ করেই ৩ নভেম্বর হত্যাকাণ্ড করা হয়, যেন জাতি দিন দিন ধ্বংসের দিকে যায়। সেই ইতিহাস থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে। তারপর আমাদের এগোতে হবে। অন্যত্থায় বারবার আমরা এই বিপদের সম্মুখ হতেই থাকব।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন- আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, বিচারপতি বোরহান উদ্দিন, বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম, বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী, বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মো. রেজাউল হাসান, বিচারপতি জে বি এম হাসান, বিচারপতি ফরিদ আহমেদ, বিচারপতি আশরাফুল কামাল, বিচারপতি খিজির আহম্মেদ চৌধুরী, বিচারপতি আবু আহমেদ জমাদার প্রমুখ।