এফ আই রানা , লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধি : লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম সীমান্তে শূন্যরেখার দুই কিলোমিটার জায়গায় কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার ছয়দিন পর এবার খালি বোতল ঝুলিয়ে দিলো বিএসএফ। বিজিবি বাধা দিলেও তারা উপেক্ষা করে বোতল ঝোলাতে থাকেন। এতে গ্রামবাসীর মধ্যে আবারও আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে দহগ্রাম সীমান্তের সরকারপাড়া এলাকার বাংলাদেশ-ভারত প্রধান ৪১ নম্বর পিলার এলাকায় বিএসএফ খালি বোতল ঝুলিয়ে দেয়।
বিজিবি সূত্র ও স্থানীয়রা জানায়, ভারতের কোচবিহার রাজ্যের ৬ রাণীনগর বিএসএফ ব্যাটালিয়নের করুণ ক্যাম্পের বিএসএফের ১০ থেকে ১২ জন সদস্য শূন্যরেখায় নির্মিত কাঁটাতারের বেড়ার কাছে আসে। এ সময় তাঁরা ডিএমপি ৮ নম্বরের উপপিলার ৩৮ থেকে ৪৬ নম্বরের শূন্যরেখায় নির্মিত বেড়ার প্রায় এক কিলোমিটার অংশের তার গুলোতে ৮ থেকে ১০ ইঞ্চি মাপের কাঁচের খালি বোতল গুণা দিয়ে বেধে ঝুলিয়ে দিতে থাকে।
স্থানীয়রা দেখে বিজিবিকে খবর দেয়। দহগ্রাম আঙ্গোরপোতা ক্যাম্পের টহল দলের বিজিবির সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে বোতল ঝুলাতে বিএসএফকে নিষেধ করে। বিএসএফ নিষেধ না মেনে বোতল ঝুলাতে থাকে। একপর্যায়ে কাজ শেষ করে চলে যায়।
দহগ্রাম সরকারপাড়া এলাকার কৃষক জমশের আলী বলেন, আমরা মাঠে কৃষিকাজ করি এর মধ্যে কাঁটাতারের বেড়া দিয়েছে। বেড়া দেওয়ার পর থেকে বিএসএফ টহল বাড়িয়েছে। এখন আমাদের দাবি এই এলাকায় তিনটি বিজিবি ক্যাম্প স্থাপন ও টহল বাড়ানো হলে আমাদের আতঙ্ক কাটবে।
৫১ বিজিবি অধিনায়ক লে. কর্নেল সেলিম আলদীন বলেন, এটি নতুন কোন স্থাপনা নয়। বেড়াটি প্রটেকশনের জন্যই তারা বোতল ঝুলিয়েছে। যদি কেউ রাতের আঁধারে বেড়া তুলে নিয়ে যায় সেজন্য তারা/বিএসএফ শূন্যরেখায় বেড়া দিয়ে নিজেই টেনশনে আছেন। এজন্য তারা এই প্রটেকশনটি ব্যবহার করেছেন।