শিরোনাম
পাটগ্রামে সাংবাদিকদের সাথে জামায়াতে ইসলামীর মতবিনিময়, আনোয়ারুল ইসলাম রাজু’র অংশগ্রহণ সাতক্ষীরা–১ আসনে নির্বাচনী উত্তাপ: মাঠে সক্রিয় জামায়াত প্রার্থী অধ্যক্ষ মুহাম্মদ ইজ্জত উল্লাহ পোরশায় মাসিক সমন্বয় সভা এবং বুদ্ধিজীবি ও বিজয় দিবস উদযাপনের লক্ষ্যে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত।  চট্টগ্রামের কালুরঘাট এলাকায় পোশাক কারখানার গুদামে আগুন নিয়ন্ত্রণে ছুটে যায় ফায়ার সার্ভিস ও চট্টগ্রাম সিটি যুব রেড ক্রিসেন্ট ইউনিট। সড়ক দুর্ঘটনায় পা হারানো আজিজুলকে হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা অব্যাহত রাখার দাবি পরিবারের লালমনিরহাটে প্রেসফোর নির্বাচনে: সভাপতি সুমন, সম্পাদক দুলাল নির্বাচিত” ছাতকে সাংবাদিকদের দোয়া-মিলাদ মাহমুদ আলমের মায়ের রুহের মাগফিরাত কামনায় দাঁড়িপাল্লার বিজয় নিশ্চিত করতে ছৈলা আফজলাবাদে জামায়াতে ইসলামী’র ওয়ার্ড সমাবেশ মনোহরদী-বেলাব আসনে জামায়াতের প্রার্থী মাওলানা জাহাঙ্গীর আলমের নির্বাচনী ব্যানার ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ!  পরিচ্ছন্নতায় সংকট, সেবায় প্রশ্ন ছাতক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স আলোচনায়
শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৬:৫৫ অপরাহ্ন

চোরের দাপটে কাঁপছে মনোহরদী — ৪৮ ঘণ্টায় ১১ গরু লাপাত্তা

রিপোটারের নাম / ২৫২ বার পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : রবিবার, ৪ মে, ২০২৫

 

আব্দুল মাবুদ মোহাম্মদ ইউসুফ, মনোহরদী, নরসিংদী :  নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলার চন্দনবাড়ী ইউনিয়নের মইষাকান্দী গ্রামে দুই রাতের ব্যবধানে সংঘবদ্ধ চোরচক্রের হাতে ১১টি গরু চুরির ঘটনা ঘটেছে। এই চুরি শুধু খামারিদের অর্থনৈতিক ক্ষতি নয়, বরং গোটা গ্রামের শান্তিপূর্ণ জীবনযাত্রায় নেমে এসেছে আতঙ্কের ছায়া।

 

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ৩০ এপ্রিল বুধবার দিবাগত রাত আনুমানিক ৩টার দিকে মইষাকান্দী গ্রামে একযোগে কয়েকটি বাড়িতে হানা দেয় চোরের দল। তারা নিঃশব্দে চুরি করে নিয়ে যায় মোট ৭টি গরু।

 

চুরি হওয়া গরুর মালিকরা হলেন— সেলিম মিয়া – ১টি , আবু বকর সিদ্দিক – ১টি , হারুনর রশিদ – ১টি , সাহিদ মিয়া – ২টি , আব্দুর রশিদ – ২টি ।

প্রত্যেকের বাড়ি একই ইউনিয়নের মইষাকান্দী গ্রামে। গরুগুলো বিভিন্ন জাতের এবং অধিকাংশই গৃহপালিতভাবে লালন-পালন করা হচ্ছিলো।

 

এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ৩ মে শনিবার দিবাগত রাতেও একই গ্রামের পশ্চিম পাড়ায় ফের গরু চুরির চেষ্টা চালায় চোরচক্র। এবার তারা ৪টি গরু নিয়ে পালানোর সময় এলাকাবাসীর তৎপরতায় ধরা পড়ে যায়। গ্রামবাসীর প্রতিরোধে চোরেরা গরুগুলো ফেলে রেখে পালাতে বাধ্য হয়। তবে পূর্বের চুরিকৃত গরুগুলোর এখনো কোনো সন্ধান মেলেনি।

 

এলাকাবাসী জানান, মইষাকান্দী, মহিষাকান্দী, লাখপুর, চন্দনপুরসহ আশপাশের গ্রামের অধিকাংশ মানুষ কৃষি নির্ভর। কৃষিকাজের পাশাপাশি গবাদি পশু পালন করেই চলে তাদের জীবিকা। গরু চুরি হওয়ায় এসব পরিবারে নেমে এসেছে চরম দুর্দশা। অনেকেই কৃষিঋণ ও ধার-দেনায় গরু কিনে খামার গড়ে তুলেছিলেন। এখন তারা চরম হতাশায় দিন কাটাচ্ছেন।

 

নোয়াকান্দী হাজী আলীম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের ধর্মীয় শিক্ষক হাফেজ মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন,

“শুধু গরুই নয়, সম্প্রতি এলাকায় টিউবওয়েল, মোটর, কলাগাছ, এমনকি মসজিদের মাইক ও ব্যাটারি পর্যন্ত চুরি হচ্ছে। পুরো ইউনিয়ন এখন এক প্রকার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। প্রশাসনের উচিত দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া এবং গ্রামে টহল জোরদার করা।”

 

স্থানীয়রা জানান, গত কয়েক মাসে চুরির প্রবণতা বেড়ে গেছে। তবে চোরদের শনাক্ত বা গ্রেপ্তার করতে পারেনি প্রশাসন। এতে ক্ষোভ বিরাজ করছে জনমনে।

 

এলাকাবাসীর জোর দাবি, দ্রুত চোরচক্রকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে হবে। একই সঙ্গে নিয়মিত পুলিশি টহল ও রাত্রিকালীন পাহারা জোরদার করতে হবে যাতে ভবিষ্যতে এমন কোনো দুর্বিপাকের শিকার না হন নিরীহ কৃষক ও খামারিরা।


এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ