শিরোনাম
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহতদের শয্যাপাশে পুনাক সভানেত্রী সাতক্ষীরায় জমি লিখে না দেওয়ার প্রভাবশালী কর্তৃক প্রাণনাশের হুমকির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন ধর্মীয় সংঘাতের মাধ্যমে দেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র চলছে- সূফিবাদী ঐক্য ফোরাম নেতৃবৃন্দ আনোয়ারায় ৪ কোটি টাকার ইয়াবাসহ দুই সহোদর আটক আজ বিকেলে সব রাজনৈতিক দলের সাথে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক। সাতক্ষীরায় ভেজাল বিরোধী অভিযানে এক দুধ ব্যবসায়ীকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা পটিয়ায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষায় স্লিপ ফান্ডের বাড়তি টাকা নেওয়ার অভিযোগ । কৃষকদলের নেতা মোঃ জসিম উদ্দিন গুরুতর অসুস্থ, দোয়া কামনা। পাটগ্রামে “গুপ্তধন” ভেবে ঘরে লুকিয়ে রাখেন গ্রেনেড মাদকসেবীদের আড্ডাখানা এখন শেখ রেহানার বাংলো বাড়িতে ।
বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৪৭ পূর্বাহ্ন

সংঘাত নয়, সব দলের অংশগ্রহণে অবাধ সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চাই- আল্লামা এম.এ মতিন

রিপোটারের নাম / ৬৩৭ বার পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : শনিবার, ৫ আগস্ট, ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের চেয়ারম্যান আল্লামা এম এ মতিন বলেছেন, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক অঙ্গন উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। দেশের মানুষ আতঙ্কিত-শংকিত। জ্বালাও-পোড়াও এবং জানমালের ক্ষতি সাধারণ জনগণ চায় না। অথচ, কেউ ক্ষমতায় থাকার জন্য ও কেউ ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য পরস্পর বিরোধী আক্রমণ শুরু করেছে। ইতোমধ্যে এ দুই বৃহৎ রাজনৈতিক জোট পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি দিচ্ছে। দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে সংঘাতময় পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। দুই বৃহৎ রাজনৈতিক জোটের এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন রাজনৈতিক আচরণে দেশবাসী আজ শংকিত। আমরা মনে করি, সহিংস ও সংঘাতময় পরিস্থিতি এড়াতে আলোচনা সর্বোত্তম পথ। দেশের গণতন্ত্রের স্বার্থ সমুন্নত রাখা এবং সংকটময় অর্থনীতি যেন আরও হুমকিতে না পড়ে, সেই বিবেচনাকে প্রাধান্য দেওয়া জরুরি। সব রাজনৈতিক দলের উচিত একটি শান্তিপূর্ণ অবস্থান নিশ্চিত করতে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেওয়া। আমরা দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলছি, এ নির্বাচন কমিশন কার্যকর স্বাধীন না হওয়ায় সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচন করতে বার বার ব্যর্থ। সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনের মূল ক্ষমতা ছিল আরপিও এর ৯১(ক) ধারা। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) এর সংশোধন করে স্বাধীন নির্বাচন কমিশন এখন ‘নখদন্তহীন বাঘে’ পরিনত হয়েছে। এই সংশোধনীর মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা আরও সংকুচিত হয়েছে। নির্বাচন কমিশন কার্যকর স্বাধীন না হলে সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন সম্ভব নয়। তাই আমরা সব দলের অংশগ্রহণে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছি তিনি আরো বলেন, একদিকে বৈশ্বিক মন্দায় রেকর্ড মুদ্রাস্ফীতি ও রিজার্ভ সংকট অর্থনীতির নাজুক অবস্থা, অন্যদিকে দ্রব্যমূল্যের অস্বাভাবিক ঊর্ধ্বগতিতে খেটে খাওয়া দরিদ্রপীড়িত মানুষগুলো অনাহারে, অর্ধাহারে কঠিন সময় পার করছে। রূঢ় বাস্তব সত্য হলো, কিছু আমলা ও কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তির খাতিরের প্রকল্পে দেশের কোটি কোটি টাকা তছরুপ করা হচ্ছে। এভাবে অসহায় জনতার টাকা আত্মসাৎ, কিছু আমলা ও রাজনীতিবীদ কর্তৃক বিদেশে পাচারকৃত টাকার পাহাড় গড়ার মহোৎসব চলছে। কয়েকজন ব্যক্তির হাতে সব ব্যবসা-বাণিজ্য জিম্মি হয়ে গেছে। বর্তমানে অর্থনীতিক দুরাবস্থা থেকে মুক্তির জন্য রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য জাতীয় ঐক্যের পাশাপাশি স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ করা জরুরী। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ইসলামের মূলধারা সুফিবাদী শান্তিপ্রিয় জনতা এদেশে রাষ্ট্রীয় ভাবে এখনো অবহেলিত ও চরম বঞ্চনার শিকার। বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট ও ছাত্রসেনার অসংখ্য নেতাকর্মী হত্যাকাণ্ডের কোন বিচার কেউ করেনি। বিচারের বাণী আজো নিভৃতে কাঁদছে। জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ মসজিদসমুহ, ইসলামিক ফাউন্ডেশনসহ রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে সুন্নী মুসলিম তথা শান্তিপ্রিয় জনতার কোন প্রতিনিধিত্ব নেই। সর্বত্রই ইসলামের নামে স্বাধীনতা বিরোধী উগ্রবাদীদের দখলদারিত্ব বিদ্যমান। অধিকার কেউ দেয় না, আদায় করে নিতে হয়। রাষ্ট্রীয় নিগ্রহের শিকার সুফিবাদী শান্তিপ্রিয় জনতার অধিকার আদায়ের জন্য আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মোমবাতি প্রতীকে ভোট দিয়ে অধিকারহারা শান্তিপ্রিয় জনতার অধিকার নিশ্চিত করার জন্য তিনি সর্বস্তরের জনতার প্রতিও আহ্বান জানান।

৫ আগস্ট (শনিবার) সকাল ৯ টায় ঢাকা বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের উত্তর গেইটে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মহাসমাবেশ ফ্রন্টের চেয়ারম্যান আল্লামা এম এ মতিনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মহাসচিব অধ্যক্ষ স.উ.ম আবদুস সামাদ। মাসুম বিল্লাহ মিয়াজি ও এড. ইসলাম উদ্দিন দুলালের সঞ্চালনায় মহাসমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন, আহলে সুন্নাত ওয়াল জমা’আত বাংলাদেশ’র চেয়ারম্যান শাইখুল হাদিস আল্লামা কাজী মুঈনুদ্দীন আশরাফী, মহাসচিব আল্লামা সৈয়দ মছিহুদ্দৌলাহ, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট প্রেসিডিয়াম সদস্য এড. আবু নাসের তালুকদার, জাতীয় পার্টির কাজী মামুনুর রশিদ, ইসলামী ফ্রন্টের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যক্ষ তৈয়ব আলি, শায়েখ আবু সুফিয়ান খান আবেদি, এড. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, অধ্যক্ষ আবু তালেব বেলাল, এম সোলাইমান ফরিদ, অধ্যক্ষ আবু জাফর মঈনুদ্দিন, শাহজালাল আহমদ আখঞ্জি, সৈয়দ মুজাফফর আহমদ মুজাদ্দেদি, পীরজাদা গোলামুর রহমান আশরফ শাহ, ইঞ্জিনিয়ার আমান উল্লাহ, অধ্যক্ষ আলী মোহাম্মদ চৌধুরী, রেজাউল করিম তালুকদার, চন্দনাইশ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা মুহাম্মদ সোলাইমান ফারুকী, এড. ইকবাল হাসান, যুবসেনার সভাপতি মোহাম্মদ আখতার হোসেন চৌধুরী, ছাত্রসেনার সভাপতি সাইফুদ্দিন আহমদ। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, কাজী মোবারক হোসাইন ফরাজী, এম.এ মাবুদ, জসিম উদ্দিন সিদ্দিকী, অধ্যাপক নুরুল আলম, সোলাইমান খান রব্বানী, অধ্যাপক শহীদুল ইসলাম, মাওলানা আবদুর হাকিম, ইঞ্জিনিয়ার নূর হোসাইন, মুহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার সৈয়দ মুহাম্মদ আবু আজম, নুরুল্লাহ রায়হান খান, মাষ্টার আবুল হোসাইন, এম মহিউল আলম, অধ্যাপক সৈয়দ মোখতার আহমদ, অধ্যাপক আবুল মনসুর দৌলতী, মুহাম্মদ এনামুল হক সিদ্দিকী, অধ্যক্ষ কাজী আনোয়ারুল মোস্তফা হেজাজী, মাওলানা ওবাইদুল মোস্তফা কদমরসুলী প্রমুখ।


এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ