জহর হাসান সাগর , তালা প্রতিনিধি : জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানে পুলিশের ছোঁড়া গুলিতে আহত হওয়া রিক্সা চালক তালার সোলাইমান সরদার(৩৮) মানবতার জীবব যাপন করছেন। সে তালা উপজেলার মাছিয়াড়া গ্রামের মুনতাজ সরদারের পুত্র।
জানাযায়, জীবিকার তাগিদে গত বছরের প্রথম দিকে রিক্সা চালাতে রাজধানী শহর ঢাকাতে যান তালার মোঃ সোলাইমান সরদার(৩৮)। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে গত ২৪ শে জুলাই থেকে জোড়ালো ভাবে আন্দোলন শুরু হলে তিনি সক্রিয়ভাবে প্রতিটা আন্দোলন অংশগ্রহণ করেন তিনি। এবং ৫ ই আগষ্ট আন্দোলনে থাকাবস্থায় তিনি মিরপুর মডেল থানার সামনে হতে পুলিশের ছোঁড়া গুলিতে বাপায়ে গুলিবিদ্ধ হন। সাথে সাথে আন্দোলনকারীদের সহায়তায় তাকে ঢাকা ইসলামিয়া হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানে চিকিৎসার অবনতি হলেপরবর্তীতে পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি হন। এর পর পায়ের অপরেশনের জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনী হাসপাতালে গিয়ে পায়ের অপরেশনের করেন। অপারেশন করে তার পায়ে ১১ টা স্কু দেওয়া হয়েছে বলে জানা যায়। পায়ের ইনজুরির কারণে তিনি ঠিক মতো হাটাচলা করতে পারেন না। ডাক্তারের পরামর্শে তিনি পূর্বের কর্ম রিকশা চালানো বা ভারি কোন কাজ করতে পারবেন না। কাজ করতে না পারায় তার ৫ সদস্যের সংসার চালাতে পারছেন না। অনাহারে অর্ধাহারে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
গুলিবিদ্ধ মোঃ সোলাইমান সরদার বলেন,আমি আন্দোলনে সব সময় সক্রিয় ভাবে অংশগ্রহণ করেছি। ৫ ই আগষ্ট বেলা ৩ টায় পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়। আমি এখন পঙ্গু হয়ে গেছি। কোন কাজ কর্ম করতে পারছি না। সংসার চালাতে পারছি না। আমার ২ ছেলে ১ মেয়ে। বড় ছেলে সাতক্ষীরা ধুলিয়ার মাদ্রাসায় জামায়ত খানায় পড়ে মেঝ ছেলে বাদামতলা নূরানী মাদ্রাসায় দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ে। সরকারি সহযোগিতা পেলে হয়তো আমি সংসার চালাতে পারতাম চিকিৎসা হতে পারতাম। তাই সরকারের কাছে আমি সহযোগিতা কামনা করছি।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোঃ ফেরদৌস গোলাম রাশেদ বলেন,আমি সরকারের নির্দেশনায় জুলাই গণঅভ্যুত্থান আন্দোলনে আহতদের তালিকা পাঠাচ্ছি। আশা করি সরকার তাদের সহযোগিতা করবেন।