মো: রেজাউল মোস্তফা, চট্টগ্রাম প্রতিনিধি : জুলাইয়ের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে জুলাইয়ের আহত ও নিহতদের সম্মাননা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেছে ওয়ারিয়র্স অব জুলাই। শনিবার (২৬ জুলাই) চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমির মিলনায়তনে এই আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়।
ওয়ারিয়র্স অব জুলাই চট্টগ্রামের মুখপাত্র কাজী আমির হোসেন রিপনের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক ই আজম বীরপ্রতীক বলেন, জুলাই যোদ্ধারা গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের ইতিহাসের অংশ। বাংলাদেশ আজীবন তাদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে। তারা ত্যাগী। দেশের সরকার ও জনগণ তাদের ত্যাগের মর্যাদা সমুন্নত রেখে সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করবে, করুনা করে নয়।
রাষ্ট্রীয় ভাবে জুলাই যোদ্ধাদের পুনর্বাসনে ইতোমধ্যে আলাদা অধিদপ্তর স্থাপন করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ১০ম তলায় এ অধিদপ্তরের জন্য ২০ জন কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। একজন অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে অধিদপ্তর থেকে জুলাই যোদ্ধাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সার্বক্ষণিক কাজ করা হচ্ছে।
উপদেষ্টা বলেন, মাসিক ভাতার পাশাপাশি জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ‘আহত যোদ্ধারা’ আজীবন সরকারি হাসপাতালগুলোতে বিনা খরচে চিকিৎসা পাবেন। স্বীকৃতিপ্রাপ্ত ‘জুলাই যোদ্ধারা’ ক্যাটাগরি অনুযায়ী এককালীন ও মাসিক ভাতা পাবেন। ইত্যিমধ্যে জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদদের ‘জুলাই শহীদ’ এবং আহতদের ‘জুলাই যোদ্ধা’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে নাম ঘোষণা করা হয়েছে। আহত জুলাই যোদ্ধারা ‘এ’, ‘বি’ এবং ‘সি’- এই তিন ক্যাটাগরিতে মাসিক ভাতা পাবেন।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ নিজের দেশের মানুষের উপর গুলি চালিয়েছে। ক্যাম্পাসগুলোকে রণক্ষেত্র কেন্দ্র, ভিন্নমত দমনের কেন্দ্র বানিতেছে। আমরা ক্যাম্পাসগুলোকে গবেষণার কেন্দ্র বানাতে চাই।
সেসময় ওয়ারিয়র্স অব জুলাইয়ের আহ্বায়ক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল সাহেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম জেলার সিভিল সার্জন জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী,শহিদ ইসমামের ভাই মো. মুহিব, ‘জুলাই যোদ্ধা’ রাকিবুল ইসলাম সহ ১৩ জন নিহতের পরিবারের সদস্যবৃন্দ।
এসময় জুলাইয়ে নিহত ১৩ জন শহীদ ও ৪০০ জন আহতদের সম্মাননা প্রদান করা হয়। জুলাইয়ে যে সকল হাসপাতালগুলো শিক্ষার্থীদের সাহায্য এগিয়ে এসেছে সেসকল হাসপাতালকেও সম্মাননা প্রদান করে ওয়ারিয়র্স অব জুলাই। শহীদের স্মরণে দোয়া মাহফিলের মধ্যে দিয়ে এই আয়োজন শেষ হয়।