সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার তালায় জমি দখল ও লুটপাট করায় মুড়াকলিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে জেলা শিক্ষা অফিসারের কাছে অভিযোগ দিয়েছে। বুধবার (৮ জানুয়ারি) বিকালে স্থানীয় মনিরুজ্জামান নামের এক ব্যক্তি লিখিত অভিযোগ দেন।
লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, আশাশুনি উপজেলার দিঘালরআইট গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে কহিনুর আলম অভিযোগকারীর মনিরুজ্জামানের মামা হন। বর্তমানে তিনি ঢাকার ধানমন্ডিতে চাকরিরত আছেন। কহিনুর আলম তালা উপজেলা সদরের আটারই গ্রামের মোসলেম গাজী এবং তার স্ত্রী জামিলা খাতুনের নিকট হতে আটারই মৌজার ১২ শতক জমি ক্রয় করেন। ক্রয়কৃত সম্পত্তটি প্রধান শিক্ষক হাফিজের বাড়ীর নিকটবর্তী অবস্থিত। কহিনুর আলম চাকরীর সুবাদে ঢাকায় থাকার কারণে ক্রয় সম্পত্তি ঠিকঠাক দেখাশুনা করতে না পারায় ২০২৪ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি উল্লেখিত সম্পত্তি সাতক্ষীরার বিজ্ঞ নোটারি পাবলিক কার্যালয় থেকে এফিডেফিট করে সম্পত্তির মালিকানা ক্ষমতা মনিরুজ্জামানের নামে হস্তান্তর করেন। এরপর সেখানে প্রাচীর দিয়ে বসতবাড়ী তৈরী করে শান্তিপূর্ণভাবে সম্পত্তি ভোগদখল করছেন তিনি। এদিকে, সম্পত্তি ক্রয় করার পর থেকে উক্ত সম্পত্তি নিয়ে হাফিজুর রহমানের সঙ্গে বিরোধ সৃষ্টি হয়। বিরোধকে কেন্দ্র করে হাফিজ প্রায় সময়ে ওই সম্পত্তি জবরদখল করার চেষ্টা করেন এবং সম্পত্তি তাহার নামে রেজিস্ট্রি করে দেওয়ার কথা জানান। তার ধারাবাহিকতায় গত ১১ নভেম্বর বেলা সাড়ে ১০ টার দিকে হাফিজ সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে সম্পত্তিতে গিয়ে তার নামে জোরপূর্বক রেজিষ্ট্রি করে দেওয়ার কথা জানায়। এক পর্যায়ে মনিরুজ্জামানকে বেদঢ়ক মারপিট করেন প্রধান শিক্ষক হাফিজ। পরবর্তীতে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে তালা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। এ সময় হাফিজ সহ তার লোকজন বাড়ীতে হামলা করে প্রাচীর, বাড়ীঘর ভাংচুরসহ মালামাল লুটপাট করেন। হাফিজের উপস্থিতিতে তার নেতৃত্বে লুটপাট ও ভাংচুরের ভিডিও ফুটেজ সংরক্ষণের রয়েছে।
এ সময়, শিক্ষা অফিসারের কাছে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত পূর্বক ভিডিওসহ সকল প্রমাণ যাচায়-বাছায় করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান অভিযোগকারী।
সাতক্ষীরা জেলা শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মুহাঃ আবুল খায়ের বলেন, মুড়াকলিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। প্রধান শিক্ষক অভিযোগকারীর বাড়িতে হামলা করেছেন এমন একটি ভিডিও ফুটেজ রয়েছে বলে জেনেছি। বিষয়টি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের কাছে তদন্ত করার জন্য দেওয়া হবে। তদন্ত শেষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।