শিরোনাম
সাতক্ষীরায় দুই প্রানিসম্পদ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তিন কোটি টাকা আত্মসাৎতের অভিযোগ আর্মি এভিয়েশন বেসিক কোর্স-১৩ এর সমাপনী অনুষ্ঠিত চট্টগ্রামে বিজয় মেলার উদ্বোধন করল চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। পার্বত্য জেলাগুলো প্রযুক্তির প্রসার দরকার : প্রধান উপদেষ্টা কর্মীদের জীবনযাত্রা সহজ করতে বেতন পুনর্গঠনের উদ্যোগ সিটি ব্যাংকের বাজার এমন একটা জিনিস একটার দাম কমবে, একটার দাম বাড়বে : অর্থ উপদেষ্টা সিরিয়ার জনগণের স্থিতিশীলতা ও শান্তি উপভোগ করার সময় এসেছে : অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী দুবাইয়ের ভিসা বাতিল হচ্ছে ভারতীয়দের জন্য। সুনামগঞ্জ জেলার শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নির্বাচিত গোলাম কিবরিয়া হাসান যুক্তরাষ্ট্রে জন্মসূত্রে দেশটির নাগরিকত্ব পাওয়ার বিধান বাতিল করছে ট্রাম্প।
বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৫৫ পূর্বাহ্ন

তালা থানা ওসির অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন

রিপোটারের নাম / ২৫ বার পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২৪

 

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা তালার ১৯৬ নং জেয়ালা নলতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক কলিমউদ্দীন সরদারের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা রেকর্ড এর প্রতিবাদে ও তালা থানার ওসি শেখ শাহিনুর রহমানকে অপসারণের দাবিতে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল তালা ডাকবাংলোর সামনে বিকাল ৪ টায় এলাকাবাসীর আয়োজনে মানববন্ধনটি অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, শিক্ষক কলিম উদ্দীনের স্ত্রী মিছেস ফাতেমা খাতুন, আবু মুছা সরদার, বিলকিস খাতুন,আসমা বেগম প্রমুখ। মানবন্ধনে এলাকার শত শত নারী-পুরুষ অংশগ্রহন করেন।

 

মানববন্ধনে আবু মুছা সরদার, বিলকিস খাতুন,আসমা বেগম বলেন, আযুব আলী সরদার ও তার সহযোগী মোজাহার সরদার তিন শতক জমি ক্রয় করে তারা চাচা এলাহিবক্স সরদারের কাছ থেকে ১৯৮০ সালের দিকে। সেই তিন শতক জমিতে পাকা ঘর বাথরুম গোয়ালঘর নির্মাণ করে দখলে আছেন। ০৪ ই ডিসেম্বর সকাল ৯ টা ৪০ মিনিটে প্রতিপক্ষরা আরও তিন শতক জমি জোরপূর্বক জবর দখল করার চেষ্টা করলে উভয় পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়। সেসময় তার ভাই শিক্ষক কলিম উদ্দীন স্কুল পাঠদানরত অবস্থায় ছিলেন। এই তুচ্ছ ঘটনায় উক্ত শিক্ষকের নাম তদন্ত ছাড়াই মামলা অন্তুভুক্ত করেন ওসি শেখ শাহিনুর রহমান।

 

শিক্ষক কলিম উদ্দীনের স্ত্রী মিছেস ফাতেমা খাতুন বলেন,আমার স্বামী তালার ১৯৬ নং জেয়ালানলতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। তিনি ঘটনার দিন ০৪/১২/২৪ ইং তারিখে সকাল ৮ টায় স্কুলে চলে যান। পরে সকাল অনুমান ৯ টা ৪০ মিনিটের সময় তার ভাসুর সেলিম সরদারের জমি প্রতিপক্ষরা দখল করতে আসলে উভয় পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এ সময় আমার স্বামী স্কুলে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করছিলেন। প্রতিপক্ষরা এখন তার স্বামীর নামে থানায় মামলা করেছে তিনি নাকি ঘটনা স্থলে ছিলো। একই সময় এক ব্যক্তি দুই স্থানে কিভাবে থাকে? তার স্বামীর স্কুল বাড়ি থেকে ১০ কি.মি. দূরে। তার স্বামীর নামে যুব জামায়তের তালা উপজেলার সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান রেন্টু থানায় ওসির সাথে রাত ৮ টা থেকে রাত ১২ টা পর্যন্ত থানায় বসে থেকে তার স্বামীর নামে মিথ্যা মামলা রেকর্ড করায়। আমার স্বামী একজন সরকারি স্কুল শিক্ষক ও ওসি সাহেব একজন সরকারি কর্মকর্তা, তাহলে একজন সরকারি কর্মকর্তা আর একজন সরকারি কর্মচারীর নামে তদন্ত ছাড়া কিভাবে মিথ্যা মামলা রেকর্ড করেন? সে এই মামলার থেকে তার স্বামীর নাম বাদ দেওয়ার দাবি করেন। এবং তার স্বামী শিক্ষক কলিম উদ্দীন এর নামে তদন্ত ছাড়াই মামলা রেকর্ড করায় তালা থানার ওসি শেখ শাহিনুর রহমান উক্ত পদের জন্য তিনি অযোগ্য বিবেচিত হওয়ায় তাকে তালা থানা থেকে অপসারণ করার জন্য পুলিশ সুপার সাতক্ষীরা ও উপ- মহা পুলিশ পরিদর্শক খুলনা রেজ্ঞ, খুলনা হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

 

এবিষয়ে তালা থানার ওসি শাহিনুর রহমান বলেন, যে ঘটনায় মামলা হয়েছে সেটি মামলা হওয়ার মত নয়, ছোট্ট ঘটনা। জমিজমা নিয়ে বিরোধে উভয় পক্ষের দুটি মামলা হয়েছে। স্কুল শিক্ষকের নামও রয়েছে সেখানে। আশ্বস্ত করছি সে ন্যায় বিচার পাবে।


এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ