শিরোনাম
ছাতক উপজেলা ইউএনও’র সাথে জামায়াতের সৌজন্য সাক্ষাত চন্দনাইশ সাতবাড়িয়া ইউনিয়নের ওয়ার্ড কর্মী সমাবেশ চন্দনাইশে অধিগ্রহণের জায়গায় মডেল মসজিদ নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন চন্দনাইশ জোয়ারা-কাঞ্চননগর বাদামতল ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির শপথ গ্রহণ ও অভিষেক চুরির অভিযোগে রিক্সা চালককে মারধর আহত রিক্সা চালকের মৃত্যু স্বজনদের আহাজারী  । তালায় জাতীয় শিশু কিশোর ফুল কুঁড়ি সূবর্ণ জয়ন্তী পালিত ছাত্রজনতার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মাধ্যমে সাড়ে ১৬ বছরের বন্দি জীবন থেকে মুক্ত হয়েছি- ড. মোহাম্মদ আলী আজাদী সাংবাদিকদের কাছে আমার কাজের যৌক্তিক সমালোচনা আশা করি: চসিক মেয়র ডা: শাহাদাত হোসেন টেস্ট ক্রিকেট থেকে বিদায় নিলেন ইমরুল । উন্নয়ন কর্মী ইয়াকুবের নদী দখল করে পিলার নির্মান,প্রতিবাদে মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত
বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:১১ অপরাহ্ন

পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে প্রথম জয়ের ইতিহাস বাংলাদেশের ।

রিপোটারের নাম / ৮৬ বার পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : রবিবার, ২৫ আগস্ট, ২০২৪

 

 

এইচটি বাংলা স্পোর্টস ডেস্ক: পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট জয়ের ইতিহাস বাংলাদেশের ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে থাকলো পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডি। পাঞ্জাব প্রদেশের মাঠে পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে প্রথম জয়ের ইতিহাস তৈরি করলো বাংলাদেশ। শুধু জয় বললে ভুল হবে। এই ম্যাচে তাদেরই মাটিতে পাকিস্তানকে রীতিমতো বিধ্বস্ত করে ছেড়েছে টাইগাররা। জয়ের জন্য মাত্র ৩০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১০ উইকেটের বিশাল জয়টি পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্টে বাংলাদেশের প্রথম।

এর আগে ২০০১ সাল থেকে পাকিস্তানের ১৩টি টেস্ট ম্যাচ খেললেও জয় পায়নি বাংলাদেশ। অবশেষে আজ রোববার ২৪ বছরের অপেক্ষা ঘুচলো বাংলাদেশের।

এই ম্যাচে একটি দুর্দান্ত রেকর্ডও করেছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ইনিংসে পাকিস্তানকে মাত্র ১৪৬ রানে অলআউট করে বাংলাদেশ। টাইগারদের বিপক্ষে টেস্টে এটিই পাকিস্তানের সর্বনিম্ম স্কোর। এর আগে ২০০৩ সালে মুলতানে টাইগারদের কাছে ১৭৫ রানে অলআউট হয়েছিল পাকিস্তান।

 

৩০ রানের লক্ষ্য তাড়ায় স্বাচ্ছন্দ্যে খেলতে থাকেন দুই টাইগার ওপেনার জাকির হাসান ও সাদমান ইসলাম। সাদমানের ৯ আর জাকিরের ১৫ রানের সুবাদে জয় অর্জিত হয় বাংলাদেশের।

 

রোববার ১ উইকেটে ২৩ রান নিয়ে পঞ্চম দিনের খেলা শুরু করে পাকিস্তান। উইকেট শিকারের মাধ্যমে দিন শুরু করে বাংলাদেশ। দিনের দ্বিতীয় ওভারেই পাকিস্তান অধিনায়ক শান মাসুদের উইকেট তুলে নেন হাসান মাহমুদ। তাকে উইকেটরক্ষক লিটন দাসের ক্যাচ বানান টাইগার পেসার।

 

যদিও প্রথমবারের আবেদনে আম্পায়ার মাথা নাড়িয়ে নেতিবাচক সিদ্ধান্ত দেন। তবে রিভিউ কথা বলে বাংলাদেশের পক্ষে। রিভিউতে দেখা যায়, হাসান মাহমুদের বাউন্সি বল শান মাসুদের ব্যাটে সামান্য স্পর্শ করেছে। ফলে ৩৭ বলে ১৪ রান করে ফেরত যেতে হয় শান মাসুদকে।

 

এরপর আরও একটি উইকেট শিকারের সুযোগ মিস করে বাংলাদেশ। মাসুদ ফেরত যাওয়ার পরের ওভারেই শরীফুল ইসলামের বলে বাবর আজমের সহজ ক্যাচ ফেলে দেন লিটন।

 

২৫তম ওভারের তৃতীয় বলে বাবরের লেগ স্টাম্প উপড়ে ফেলেন পেসার নাহিদ রানা। বাবর ফেরেন ২২ রানে। পরের ওভারে আঘাত হানেন সাকিব আল হাসান। ২৬তম ওভারের শেষ বলে সাকিবকে সামনে এগিয়ে এসে খেলতে চেয়েছিলেন সৌদ শাকিল। তবে বলটি মিস করেন আগের ইনিংসে ১৪১ রান করা শাকিল। বল পেয়ে মোটেও ভুল করলেন না লিটন। দ্রুতগতিতে স্টাস্পড করেন তিনি। রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরের পথে হাঁটেন শাকিল।

 

৩৩তম ওভারের শেষ বলে সাকিবকে উড়িয়ে মারতে যান আব্দুল্লাহ শফিক। ব্যাটে-বলে ভালো মতো সংযোগ ঘটাতে না পেরে মিড অফে সাদমান ইসলামের হাতে ক্যাচ হন পাকিস্তান ওপেনার (৩৭ রান)। এই ইনিংসে এটি সাকিবের দ্বিতীয় শিকার।

 

পরের ওভারেই নতুন ব্যাটার সালমান আলি আগাকে (০) বোকা বানান মেহেদী হাসান মিরাজ। মিরাজকে ঠেকাতে গিয়ে প্রথম স্লিপে সাদমানের ক্যাচ হন তিনি। এতে ১০৫ রানে ৬ উইকেট হারায় পাকিস্তান। এরপর ১১৮ রান নিয়ে মধ্যাহ্নবিরতিতে যায় স্বাগতিকরা।

বিরতি থেকে আসার পর শাহিন শাহ আফ্রিদির (১৬ বলে ২) উইকেট তুলে নেন মিরাজ। এরপর নাসিম শাহকে (২২ বলে ৩) নিজের তৃতীয় শিকার বানান সাকিব।

 

এরপর বাংলাদেশের সামনে কাঁটা হয়ে দাঁড়ান মোহাম্মদ রিজওয়ান। খুররম শেহজাদকে নিয়ে ২৪ রানের জুটি করেন তিনি। এরমধ্যে হাঁকিয়ে ফেলেন ফিফটিও। তবে রিজওয়ানকে ফিফটির পর বেশি দূর যেতে দেননি মিরাজ। ৮০ বলে ৫১ রান করা পাকিস্তানের ডানহাতি এই ব্যাটারকে বোল্ড করেন টাইগার স্পিনার।

পাকিস্তানের সর্বশেষ উইকেটও তুলে নেন মিরাজ। মোহাম্মদ আলিকে রানের খাতাই খুলতে দেননি তিনি।

এর আগে প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেটে ৪৪৮ রান করে ইনিংস ঘোষণা করে পাকিস্তান। জবাবে ৫৬৫ রানের পাহাড় গড়ে অলআউট হয় বাংলাদেশ।


এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ