মো: রেজাউল মোস্তফা, চট্টগ্রাম মহানগর প্রতিনিধি : বিশ্বজুড়ে আবারও ছড়িয়ে পড়ছে কোভিড-১৯-এর নতুন ভ্যারিয়েন্ট Omicron XBB, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য এক নতুন হুমকি হিসেবে দেখা দিচ্ছে। এই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, চট্টগ্রাম সিটি ইউনিটের যুব রেড ক্রিসেন্ট সদস্যরা সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এক প্রশংসনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন।
এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম শহরের বিভিন্ন ব্যস্ততম পয়েন্ট, প্রধান সড়ক ও মসজিদে মুসল্লি, পথচারী ও হকারদের মাঝে মাস্ক বিতরণ এবং সচেতনতামূলক লিফলেট সরবরাহ করা হয়। স্বেচ্ছাসেবকরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে অবহিত করেন এবং তাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সচেতন করেন।
সচেতনতামূলক এই কার্যক্রমে নেতৃত্ব দেন চট্টগ্রাম সিটি ইউনিটের যুব প্রধান আ. ন. ম তামজীদ। তাঁর নেতৃত্বে একদল যুব স্বেচ্ছাসেবক দায়িত্ব নিয়ে কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন, যারা নিজেদের নিরাপত্তার বিষয়টি উপেক্ষা করে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তারা সকাল থেকে শুরু করে নামাজের জামাতের সময় ও পিক আওয়ারে চট্টগ্রামের বিভিন্ন জনসমাগমস্থলে উপস্থিত থেকে এই কার্যক্রম পরিচালনা করেন।
তিনি বলেন, “এই সচেতনতামূলক প্রচারণার মূল উদ্দেশ্য হলো—মানুষ যেন বুঝতে পারে, করোনা এখনও শেষ হয়ে যায়নি। তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা এবং তথ্যভিত্তিক সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়া এখনো জরুরি। আমাদের দায়িত্ব শুধু মাস্ক বিলানো নয়, বরং ভুল তথ্য ও গুজব থেকে মানুষকে রক্ষা করাও।”
সচেতনতা কার্যক্রমে অংশ নেওয়া স্বেচ্ছাসেবকেরা সাধারণ মানুষের সঙ্গে সরাসরি কথা বলেন এবং কিছু গুরুত্বপূর্ণ বার্তা তুলে ধরেন, যেমন:সর্বদা মাস্ক পরিধান করা, নিয়মিত সাবান বা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ধোয়া, জনসমাগম এড়িয়ে চলা এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা
এই কার্যক্রমের আওতায় স্থানীয় মসজিদগুলোকে কেন্দ্র করে মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে বিশেষ বার্তা পৌঁছে দেওয়া হয়। একইসাথে ব্যস্ত রাস্তায় অবস্থানরত রিকশাচালক, হকার, দোকানদার ও সাধারণ পথচারীদের মধ্যে মাস্ক ও লিফলেট বিতরণ করা হয়। লিফলেটের মাধ্যমে সহজ ভাষায় স্বাস্থ্য সচেতনতা এবং করোনা প্রতিরোধের করণীয় তুলে ধরা হয়।
স্থানীয়দের প্রতিক্রিয়াও ছিলো বেশ ইতিবাচক। অনেকেই রেড ক্রিসেন্টের এই কার্যক্রমকে স্বাগত জানান এবং বলেন, এ ধরণের উদ্যোগ সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। অনেক পথচারী ও হকার নিজ উদ্যোগে মাস্ক পরিধান করতে শুরু করেন এবং স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে জানতে আগ্রহ প্রকাশ করেন।
সচেতনতা কার্যক্রম শেষে যুব প্রধান বলেন, “আমাদের এই ছোট্ট প্রচেষ্টা যদি একজন মানুষকেও সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে পারে, তবে সেটাই আমাদের সফলতা।”
চট্টগ্রাম সিটি যুব রেড ক্রিসেন্টের এই মহতী উদ্যোগ প্রমাণ করে যে, যুবসমাজই পারে সচেতনতায় অগ্রণী ভূমিকা রাখতে এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে।