শিরোনাম
ছাতকে দুই গ্রামবাসীর রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ, আহত অন্তত ১৫ লুটপাটে থমথমে পরিবেশ, গ্রেফতার ৬ চট্টগ্রামে সম্পন্ন হলো ‘১ম আন্তঃ যুব রেড ক্রিসেন্ট বিতর্ক চ্যাম্পিয়নশীপ–২০২৫’ চট্টগ্রামের পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে টেক্সটাইল ক্লাব – পিসিআইইউ আয়োজিত। বোনের হাতে ফোঁটা নিলেন ভারতীয় ওয়েব মুভি “হয়তো তোমারই জন্য” র অভিনেতা ঋজু রায়  চন্দনাইশে সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী (ক.)’র বার্ষিক ওরশ শরীফের স্মরণে ২য় ধাপে ফ্রি খৎনা ক্যাম্প অনুষ্ঠিত আলিম পরীক্ষায় গোল্ডেন এ প্লাস পেলেন জামেয়া মহিলা কামিল মাদ্রাসার ছাত্রী সৈয়দা শাফেউল মাহশর শেফা সমরকন্দি বিএসটিআই অনুমোদিত পণ্যে ওজন হ্রাস ও নকল পণ্যের বিপণন বন্ধে সিআরবি’র আবেদন সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনে রেজিস্ট্রেশন চলছে সিলেট পাল্প অ্যান্ড পেপার মিলস স্কুলে আকিজ ফ্যাক্টরির সামনে দাঁড়িয়ে থাকে দীর্ঘ সারিতে ট্রাক, বাড়ছে যানজট চন্দনাইশে বিএনপির ৩১ দফা কর্মসূচি বাস্তবায়নে প্রচারণা চালাচ্ছেন বিএনপি নেতা নুরুল আনোয়ার চৌধুরী
মঙ্গলবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৫, ১২:২০ পূর্বাহ্ন

সাতক্ষীরায় ছাত্র-জনতা হত্যায় জড়িত আ.লীগ নেতা কোপাত মোড়ল গ্রেফতার

রিপোটারের নাম / ১৯৫ বার পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : সোমবার, ৭ এপ্রিল, ২০২৫

 

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: সাতক্ষীরায় ছাত্র-জনতা হত্যায় জড়িত আওয়ামী লীগ নেতা কোপাত মোড়ল গ্রেফতার হয়েছে। সোমবার (৭ এপ্রিল) রাতে তার নিজ গ্রাম আশাশুনির গোকুলনগরের রুলামিন নামে আ’লীগ কর্মীর বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করে থানা পুলিশ।

 

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আশাশুনি থানার অফিসার ইনচার্জ নোমান হোসেন।

 

জানা গেছে, ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পালানোর দিন ছাত্র-জনতার মিছিলে প্রকাশে গুলি করে তিনজনকে হত্যা অভিযোগ রয়েছে কোপাত বাহিনীর ক্যাডারদের বিরুদ্ধে। ঘটনার দিনই পালিয়ে যায় কোপাত ও তার দলের সদস্যরা। কিন্তু সম্প্রতি এলাকায় ফিরে আবারও বেপরোয়া হয়ে উঠে।

 

স্থানীয়রা জানায়, সুন্দরবনের কুখ্যাত জলদস্যু এলাই ডাকাতের মৃত্যুর পর সেই বাহিনীর হাল ধরে ছোট ভাই কোপাত ডাকাত। পরে আওয়ামী লীগ নেতাদের হয়ে ডাকাতি-লুটপাটের দায়িত্ব পালন করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। কোপাত বাহিনীকে সব ধরনের সহায়তা দিতেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চেয়ারম্যান জাকির হোসেন। কোপাতকে আইনের হাত থেকে সুরক্ষা দিতে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতিও বানান তিনি। জুলাই আন্দোলনের সময় জাকির হোসেনের নেতৃত্বে আন্দোলন মোকাবেলায় সব রকম তৎপরতায় জড়িত ছিল কোপাত বাহিনী।

 

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর নাকনা গ্রামে মিছিল বের করেন ছাত্রজনতা। সেই মিছিলে জাকির হোসেনের নেতৃত্বে হামলা চালায় কোপাত বাহিনী। মিছিলে প্রকাশ্যে গুলি চালিয়ে তিনজনকে ঘটনাস্থলেই হত্যা করা হয়। এতে আহত হন অন্তত ২০ জন। পরে উত্তেজিত জনতা জাকিরের বাড়িতে পাল্টা হামলা চালায়। এসময় জাকির নিহত হয়। তখন কোপাত বাহিনীর প্রধানসহ অন্যরা বাড়ি থেকে দেওয়াল টপকে পালিয়ে যায়।

 

এই হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত থাকার পর পালিয়ে গেলেও সম্প্রতি এলাকায় ফিরেছেন। এলাকায় ফিরে মধ্যম একসরা গ্রামের খোরশেদ শিকারী, নাংলা গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম মন্টু, গোকুলনগর গ্রামের সেলিম রেজা, রেজাউল করিম সরদার ও আব্দুল্লাহ সরদারসহ ৩০ থেকে ৩৫ জনের একটি সন্ত্রাসী দল গঠন করেছেন।

 

অনুসন্ধানে জানা গেছে, কোপাত বাহিনীর বিরুদ্ধে ইতোপূর্বে আশাশুনি থানায় বহু মামলা রয়েছে। ডাকাতি ও লুটপাটের ঘটনায় তাদের নাম উল্লেখ করে হওয়া যেসব মামলার সন্ধান পাওয়া গেছে তার মধ্যে আশাশুনি থানায় মামলা নং ১১/২৯৬, ৪৩/২৪, ৬৩/২৪, ১২৩/২৪ ও ১২৪/২৩ অন্যতম। এছাড়া নন-জিআর মামলায় পরোয়ানা রয়েছে বলে জানা গেছে। এর আগে কোপাত ডাকাতি মামলায় একাধিকবার কারাগারে গেলেও দলীয় প্রভাবে জামিন নিয়ে বের হয়ে আসে।

 

আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নোমান হোসেন বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কোপাত মোড়ল কে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরবর্তীতে বিশ্বাস জানানো হবে।


এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ