এইচটি বাংলা স্পোর্টস ডেস্ক : ২০১৭ সালে লাল বলের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছিল তাসকিন আহমেদের। মাঝে কিছুদিন এই ফরম্যাট থেকে ছিলেন দূরে। সময়ের হিসাবে আট বছর কেটে গেলেও তাসকিনের টেস্ট খেলার সংখ্যা হাতেগোনা। অ্যান্টিগাতে নিজের ১৬তম টেস্ট খেলতে নেমেছেন, সেখানেই সাদা পোশাকে প্রথমবার পেলেন ফাইফার। এর আগে তিনবার চার উইকেট নিলেও ছোঁয়া হয়নি পাঁচ উইকেটের মাইলফলক। সোমবার ম্যাচের চতুর্থ দিনে ক্যারিবিয়ান ব্যাটিং লাইনআপকে গুঁড়িয়ে দিতে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন দ্রুতগতির এই পেসার।
রবিবার ৯ উইকেট ২৬৯ রান নিয়ে তৃতীয় দিন শেষ করেছিল বাংলাদেশ। স্বাভাবিকভাবেই আজকে এক উইকেট নিয়ে কিছুটা লড়াইয়ের আশা ছিল। কিন্তু সবাইকে অবাক করে দিয়ে অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ ইনিংস ঘোষণা করেন। ১৮১ রানে পিছিয়ে থেকে ইনিংস ঘোষণার ‘সাহসী’ সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর বল হাতেও দারুণ সময় কাটিয়েছে বাংলাদেশ। তাসকিনের গতির কাছে পরাস্ত হন ক্যারিবিয়ান ৬ ব্যাটার। প্রথম সেশনে দুই উইকেট নেওয়া তাসকিন দ্বিতীয় সেশনে নেন ৪টি উইকেট।
তাসকিনের প্রথম শিকার প্রথম ইনিংসে ৯৭ রান করা ক্যারিবীয় ওপেনার মিকাইল লুইস। ৮ রানে লিটন দাসকে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন তিনি। এই ওপেনারের বিদায়ের পর কিসি কার্টিকে ফেরান তাসকিন। তৃতীয় স্লিপে দাঁড়ানো মাহমুদুল হাসান জয়ের হাতে ক্যাচ দিয়ে এক রানে বিদায় নেন উইন্ডিজ ব্যাটার। ৩৯ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন আলিক আথানেজ ও কাভেম হজ। বিপজ্জনক হয়ে ওঠা দুইজনের ৫০ রানের জুটিও ভাঙেন তাসকিন। অফ স্টাম্পের বাইরের বলের বাড়তি বাউন্স চমকে গিয়ে ঠিক ভাবে খেলতে পারেননি হজ। তাতেই উইকেটের পেছনে লিটনের হাতে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নিতে হতে তাকে।
এরপর তাসকিনের চতুর্থ শিকার হয়ে মাত্র ২ রান করে ফেরেন জাস্টিন গ্রিভস। একশর আগে ৬ উইকেট হারিয়ে চাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। মিডল স্টাম্প লাইনে তাসকিনের শর্ট অব লেংথ ডেলিভারি হালকা সিম মুভমেন্টে আঘাত করে অফ স্টাম্প উড়িয়ে দেন গ্রিভসের। প্রথম ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান দ্বিতীয় ইনিংসে আউট হলেন ২ রান করে। নিজের ১৪তম ওভারে এসে লাল বলের ক্রিকেটে প্রথমবারের মতো পাঁচ উইকেট নেওয়ার স্বাদ পেলেন তাসকিন। দারুণ ইয়র্কারে শামার জোসেফকে বোল্ড করে পূর্ণ করলেন ক্যারিয়ারের প্রথম ৫ উইকেট।
৮ বছরের ক্যারিয়ারে আগের ১৫ ম্যাচে তিনবার ৪ উইকেট পেয়েছিলেন তাসকিন। ১৬তম ম্যাচে তিনি পেলেন ৫ উইকেটের অনির্বচনীয় স্বাদ। পরের ওভারে কেমার রোচকে মিরাজের ক্যাচ বানিয়ে তুলে নেন নিজের ৬ষ্ঠ উইকেট। সবমিলিয়ে ১৪.১ ওভারে ৬৪ রান দিয়ে ৬ উইকেট নিয়েছেন তাসকিন। তার আগুনে বোলিংয়ে ক্যারিবিয়দের দ্বিতীয় ইনিংস শেষ হয় ১৫২ রানে।