শিরোনাম
সাংবাদিকদের কাছে আমার কাজের যৌক্তিক সমালোচনা আশা করি: চসিক মেয়র ডা: শাহাদাত হোসেন টেস্ট ক্রিকেট থেকে বিদায় নিলেন ইমরুল । উন্নয়ন কর্মী ইয়াকুবের নদী দখল করে পিলার নির্মান,প্রতিবাদে মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত তালায় ৩ দিন ব্যাপি কৃষি মেলা-২০২৪ এর উদ্বোধন লালমনিরহাটের পাটগ্রামে ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত -৪ বাংলাদেশের সংকটে বারবার কান্ডারীর ভূমিকায় জিয়া পরিবার : মীর হেলাল গাজীপুরা পূর্বপাড়া বাইগারটেক  সমাজ কল্যাণ পরিষদের নতুন কমিটি গঠিত। পাটগ্রামে আওয়ামী লীগ দুঃশাসনে চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে গণ মিছিল  সাধক আমিন ভাণ্ডারীর হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে তালা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন তালায় বিআরডিবির মাসিক যৌথসভা ও ই-প্রশিক্ষণের নামে অর্থ আত্মসাৎতের অভিযোগ
শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১২:২৭ অপরাহ্ন

নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের অবৈধ মজুতদারি ও বাজার কারসাজিকারীদের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর‌ হুঁশিয়ারী।

রিপোটারের নাম / ১৯৪ বার পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : সোমবার, ২২ জানুয়ারি, ২০২৪

 

 

 

এইচটি বাংলা ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের অবৈধ মজুতদারি ও বাজার কারসাজিকারীদের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারী দিয়ে বলেছেন, এসব অপকর্মের হোতাদের তাদের কাজের জন্য কঠোর শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী আজ সন্ধ্যায় গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় সভাপতিত্বকালে দেওয়া সূচনা ভাষণে বলেন, “কেউ অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে কোনো পণ্য মজুত করলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আমরা তাদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিবো এবং প্রয়োজনে তাদের কারাগারে পাঠানো হবে।”

নির্বাচনের পরপরই (নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের) আকস্মিক মূল্যবৃদ্ধি অত্যন্ত অস্বাভাবিক উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, এই মূল্যবৃদ্ধির পেছনে কারা কারসাজি করছে তা খুঁজে বের করা অপরিহার্য। তিনি আরো বলেন, “কেবল তাদের খুঁজে বের করলেই হবে না, তাদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থাও নিতে হবে। আমরা ভবিষ্যতে তাই করব।”
প্রধানমন্ত্রী দেশের জনগণকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান যাতে কেউ খাদ্যদ্রব্য মজুদদারি ও কালোবাজারি করে খাদ্যদ্রব্যের মূল্য নিয়ে খেলা খেলতে না পারে।
তিনি আরও বলেন, “খাদ্যদ্রব্য নিয়ে খেলা খেলার কোন মানে নেই।”
দলের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফরউল্লাহ, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন ও শেখ ফজলুল করিম সেলিম এবং কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ প্রমুখ মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের মানুষের আর্থ সামাজিক উন্নয়নের জন্য রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা একান্তভাবে দরকার। কেউ কেউ ভেবেছিল ইলেকশন হবে না এবং সে ধরনের প্রচার প্রপাগান্ডা ব্যাপকভাবে ছড়াচ্ছিল নির্বাচনের আগে। মানুষকে দ্বিধাগ্রস্ত করে দেয়ার জন্য।
তিনি বলেন, আমি বাংলাদেশের জনগণকে সাধুবাদ ও আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। কেননা এদেশের সাধারণ মানুষ বা ভোটাররা ওই সব কথায় কোন কান দেয়নি। ‘ভোট কেন্দ্রে যাবেন না বা ভোটে অংশ নেবেন না’ বলে তারা লিফলেটও বিলি করেছে। তাতেও মানুষ কিন্তু সাড়া দেয়নি। লিফলেট হয়তো হাতে নিয়েছে এটা ঠিক, কিন্তু ভোট দেওয়ার সময় তারা ভোটকেন্দ্রে ঠিকই হাজির হয়েছে। জনগণের অংশগ্রহণেই একটা সুষ্ঠু নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আবার নতুনভাবে আমাদের যাত্রা শুরু। আমাদের সামনে এখন অনেক কাজ।
তিনি ২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত বিএনপি’র দুঃশাসন ও জঙ্গিবাদের উল্লেখ করে বলেন, ২০০৮ এর নির্বাচনে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট মাত্র ৩০ টি আসন এবং আওয়ামী লীগ এককভাবে ২৩৩ টি আসনে বিজয়ী হয়। আর সে নির্বাচনে কেউ প্রশ্ন তোলেনি এবং সেই নির্বাচনী প্রমাণ হয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশের রাজনৈতিক শক্তি বলতে কেবল আওয়ামী লীগই এবং এটা আমাদের সাধারণ মানুষ কিন্তু উপলব্ধি করে।
২০১৩, ২০১৪ এবং ২০১৫ সালের বিএনপি’র অগ্নি সন্ত্রাসের উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা এবারও দেখলাম তাদের অগ্নি সন্ত্রাস। ট্রেনে আগুন দিয়েছে মা ও শিশু পুড়ে কয়লা হয়ে গিয়েছে। পুলিশকে ফেলে পেটানো, পুলিশ সদস্যকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। প্রধান বিচারপতির বাসভবন ও জাজেস কোয়ার্টারে হামলার ঘটনা ঘটেছে। কাজেই তাদের চরিত্রটা এটাই।
শেখ হাসিনা বলেন, নির্বাচন কোন দল করবে কি করবে না, সেটা সেই দলের উপরে নির্ভর করে। এর সাথে নির্বাচন সুষ্ঠু, নির্বাচন ভালো, নির্বাচন মন্দ এই যে ধরনের নানা কথা আমাদের কিছু আঁতেল আছে তারা বলে বেড়াচ্ছে। কিন্তু তারা ভুলে যায় যে মানুষ যেখানে গ্রহণ করে নিয়েছে সেখানে তাদের বলার কি থাকে। যেখানে জনগণ স্বতস্ফ’র্তভাবে ভোট দিয়েছে এবং আমরা বিজয়ী হয়ে সরকার গঠন করেছি। হয়তো কিছু লোকের পছন্দ নাও হতে পারে কিন্তু এদেশের মানুষ যখন গ্রহণ করে, আর আমাদের দেশের মানুষ কিন্তু ভিন্ন। তাদের কাছে যদি কোন নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হয় তাহলে কিন্তু তারা মানে না। এটা তাদের মনে রাখা উচিত এবং অযথা একটা ধুম্রজাল সৃষ্টি করার চেষ্টা করা হচ্ছে। শুধু তাই না আমি দেখলাম হঠাৎ করে পরে চালের দাম বেড়ে গেল, জিনিসের দাম বেড়ে গেল।
এ সময় তিনি ’৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন, যেখানে দেড়মাসের মাথায় বিএনপি সরকারের পতন ঘটেছিল এবং ২০০৬ সালের নির্বাচনও জনগণ মানেনি বলেও সকলকে স্মরণ করিয়ে দেন।
তিনি বলেন, কোভিড ১৯ এর অতিমারি এবং রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব, স্যাংশন, পাল্টা স্যাংশন- এর ফলে বিশ্বব্যাপী মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। শুধু বাংলাদেশ নয় উন্নত দেশগুলো এর ধাক্কা সামাল দিতে পারছে না। বিশ্ববাজারে পণ্যের উচ্চ মূল্য এবং পরিবহনের মূল্য বেড়ে যাওয়াতেই এই মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। যার জন্য আমি সব সময় চেষ্টা করেছি আমাদের নিজস্ব উৎপাদন বাড়ানোর, আমাদের এটাই একমাত্র উপায়।
তিনি দ্রব্যমূল্যের আকস্মি উর্ধ্বগতি সম্পর্কে আরো বলেন, এবার আমাদের ভালো ফসল হয়েছে এবং চাল উৎপাদন বেড়েছে কিন্তু নির্বাচনের পরে হঠাৎ দাম বাড়াটা একটি অস্বাভাবিক পরিস্থিতি।
নির্বাচনের পর শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি সত্ত্বেও গার্মেন্টস সেক্টরে অস্থিরতা সৃষ্টির পাঁয়তারার অভিযোগ তোলেন তিনি।
তিনি বলেন, দেখা গেল নির্বাচন বানচাল করতে ব্যর্থ হয়ে তারা এখন অন্য পথে নামতে চাচ্ছে। সেটা আমরা করতে দেব না। বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে দেব না। মানুষ আনন্দিত ও খুশি যে নির্বাচন হয়ে গেছে এবং আমরা সরকার গঠন করেছি। আমাদের এখন কাজ হচ্ছে এ পর্যন্ত আমরা যে উন্নয়নটা করেছি সেই উন্নয়নটাকে আমাদের টেকসই করা। যাতে মানুষ তার শুভ ফলটা পায়। উন্নয়নশীল দেশের যে মর্যাদা আমরা পেয়েছি যেটা ২০২৬ সালের কার্যকর হবে তা ধরে রেখে দেশকে উন্নত সমৃদ্ধ করে তোলা ২০৪১ সাল নাগাদ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা। আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছি আগামীর বাংলাদেশ হবে স্মার্ট।


এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ